শেষ কিছু দিনে ইউরোপীয় ফুটবলে আবারও ফিরেছে ব্রাজিলীয় খেলোয়াড়দের দাপট। ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রদ্রিগো গোয়েজদের মতো তারকারা কেড়ে নিচ্ছেন আলো। তাই দেখে ব্রাজিল কোচ তিতে বুক বাঁধছেন আশায়। ভিনিসিয়াস রদ্রিগোরা যে এবারের বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলেও থাকবেন! তাদের নিয়ে গড়া ব্রাজিলের তরুণ প্রজন্ম নেইমারের ওপর জেঁকে বসা চাপের বোঝাটা হালকা করে দেবে বলে মনে করছেন ব্রাজিল কোচ। 

আগামী নভেম্বরে কাতারে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপে ষষ্ঠ শিরোপার লক্ষ্যে যাবে ব্রাজিল। শেষ দুই বিশ্বকাপে ব্রাজিলের প্রত্যাশার পুরোটা জুড়ে ছিলেন নেইমার। তবে ব্রাজিলের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। এবার তাই নেইমার-নির্ভরতা কমাচ্ছে ব্রাজিল, দলের তরুণদেরও দারুণ প্রাধান্য দিচ্ছেন তিতে।

আরও পড়ুন>> আর্জেন্টিনাকে নেইমারের খোঁচা, ‘তারা কি বিশ্বকাপ জিতে গেছে?’

তার ছাপ অবশ্য বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেই দেখা গেছে। নেইমার গোল পাচ্ছেন না যেদিন, লুকাস পাকেতা, রিচার্লিসন, ভিনিসিয়াসরা গোল করে উতরে দিচ্ছেন দলকে। সেই দলের সঙ্গে যুক্ত হবে গেল মৌসুমে পারফর্ম করে পাদপ্রদীপের আলোয় আসা রাফিনিয়া, রদ্রিগোরা। 

২৫ বা তার চেয়ে কম বয়সের অনেক খেলোয়াড় আছে ব্রাজিলের, যারা ইতোমধ্যেই ইউরোপে আলো ছড়াচ্ছেন। নেইমারের বোঝাটা হালকা করবেন তারাই, ভাবনা তিতের। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, তরুণ খেলোয়াড়দের আশার ফলে নেইমারই উপকৃত হবে। সেটা মাঠে হোক, কিংবা মাঠের বাইরে।’

আরও পড়ুন>> ব্রাজিলের ১০ নম্বর জার্সিটা রিয়াল তারকাকে দিয়ে দিতে চান নেইমার

সে বিষয়টা নিয়ে যে নেইমারও ভাবছেন, সেটাও জানালেন তিতে। বলেন, ‘একদিন নেইমার আমাকে বললো, কোচ এই ছেলেগুলো যারা আসছে, পুরো পাগলাটে! সবাইকে মাঠে নামানো নিয়ে ভাবতে তো আমাদের মাথা ব্যথা হয়ে যাবে!’

ব্রাজিল কোচের অভিমত, কৌশলগত প্রজ্ঞাসম্পন্ন খেলোয়াড় যত বেশি দলে আসবে, প্রতিপক্ষের মনোযোগ তত বেশি নাড়িয়ে দেওয়া যাবে। তিতে জানালেন, এই দল নিয়ে তিনি ‘হাইব্রিড’ পদ্ধতি অবলম্বন করবেন বিশ্বকাপে। এই বিশ্বকাপে ২৬ জনের দল নিয়ে যাওয়া যাবে, মাঠে খেলানো যাবে ৫ বদলিকে। এমন সুযোগ দুই হাতে লুফে নিতে চায় ব্রাজিল।

আরও পড়ুন>> নেইমারকে নিয়ে মেসি-এমবাপের বিরোধ চরমে

নিজের কৌশলটার ব্যাখ্যায় তিতে বললেন, ‘নেইমার এখন আরও বেশি সৃষ্টিশীল, পয়েন্ট গার্ড (বাস্কেটবল কোর্টে যে খেলোয়াড় একটু নিচে থেকে আক্রমণ গড়ে দেন), খেলা গড়ে দেওয়া আর  ফিনিশারের কাজ করবে, তবে তির-ধনুকের মতো একটু পেছন থেকে এই কাজ করানো হবে…’ 

নেইমারকে বেশিরভাগ সময়ই প্রতিপক্ষ কড়া প্রহরায় রাখতে চায় একজন মার্কার বাড়িয়ে দিয়ে। তিতে অবশ্য এতে দলের লাভই দেখছেন। বলছেন, ‘নেইমারকে দ্বিগুণ খেলোয়াড় দিয়ে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করতে দেখা যায়, এখন এটা যদি আপনি করেন, তাহলে অন্য খেলোয়াড়দের জন্য ফাঁকা জায়গা বের করে দিচ্ছেন আপনি। যা আমাদের দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। আমরা এখন একটা ভালো অবস্থানে আছি।’

এনইউ/এটি