আগের ম্যাচেই সাইফ স্পোর্টিংকে হারিয়ে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বসুন্ধরা কিংস। সেই দিন মাঠে শিরোপা উদযাপন সেভাবে করেননি। আজ সোমবার হোম ম্যাচে আবাহনীর বিপক্ষে জিতেই যেন সেই শিরোপার উল্লাস করলেন। রাজধানীর কিংস অ্যারেনার গ্যালারিতে বসুন্ধরা কিংসের লাল জার্সিতে ছিল প্রায় পরিপূর্ণ। প্রতিটি গোলের পর তারা আনন্দ করেছেন। ৩-২ গোলের ব্যবধানে আবাহনীকে হারানোর পর কিংসের খেলোয়াড়রা গ্যালারিতে দর্শকের কাছে গিয়েছেন, মাঠে যেন তখন লাল উৎসব। 

দুই ম্যাচ হাতে থাকতে বসুন্ধরা কিংস চ্যাম্পিয়ন ও ঢাকা আবাহনী রানার্স আপ। আজ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় দুই দলের ম্যাচটি ছিল মূলত মর্যাদার। ঢাকা আবাহনী লিগের শিরোপাহীন তিন মৌসুম। ফলে আজকের ম্যাচে কিংসকে হারিয়ে কিছুটা সান্ত্বনা পাওয়ার সুযোগ ছিল। উল্টো বসুন্ধরা কিংস নিজেদের হোম ম্যাচে জিতে শিরোপা জেতার প্রকৃত স্বাদ পেয়েছে। এ জয়ে বসুন্ধরা কিংস ২১ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। সমান সংখ্যক ম্যাচে ঢাকা আবাহনীর পয়েন্ট ৪৪। দুই দলেরই লিগের আর একটি ম্যাচ বাকি রয়েছে।

আরও পড়ুন >> বসুন্ধরা কিংসের ইতিহাস

বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় স্বাগতিকরা ৩-২ গোলে ঢাকা আবাহনীকে হারিয়েছে। গাম্বিয়ান নুহা মারংয়ের গোলে ২০ মিনিটে লিড নেয় বসুন্ধরা কিংস। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে আবাহনীর রাকিব বক্সের মধ্যে প্রবেশ করে কোনাকুনি শটে গোল করে ম্যাচে সমতা আনেন। দ্বিতীয়ার্ধে আবাহনী জয়ের চেষ্টা করেছে শুরুতেই। তবে আবাহনীর কাছ থেকে ম্যাচটি ছিটকে দেন কিংসের ব্রাজিলিয়ান রবসন রবিনহো।

প্রথমার্ধে আবাহনীর রাকিবের মতো তিনি একই জায়গা থেকে ৭১ মিনিটে গোল করে কিংসকে ম্যাচে আবার লিড এনে দেন। ২-১ গোলে পিছিয়ে থাকার আবাহনী ম্যাচে ফেরার সব চেষ্টা করেছে। আবাহনীর ফরোয়ার্ডরা সমতা আনতে পারেননি। ইনজুরি সময়ে আরেকটি গোল করে কিংসের জয় নিশ্চিত করেন রবসন। ইনজুরি সময়ে রবসনের স্বদেশি ব্রাজিলিয়ান রাফায়েল গোল করলে আবাহনীর পরাজয়ের ব্যবধান কমে।

আরও পড়ুন >> বাফুফের কাছে বসুন্ধরা কিংসের আবদার

ঘরোয়া ফুটবলে আগে আলোচনায় ছিল আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ। কালের বিবর্তনে সেই ম্যাচ এখন আর আলোড়ন তোলে না। গত কয়েক বছর আগে লিগের শিরোপা নির্ধারণ হতো আবাহনী-শেখ জামাল ম্যাচের উপর। সেই সময়ও পার হয়েছে। তিন বছর যাবত লিগের প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন ঢাকা আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংসের মধ্যে। চলতি লিগে দ্বিতীয় লেগে দুই দলের মুখোমুখির আগেই কিংসের শিরোপা নিশ্চিত হয়েছে। ফলে আজকের লড়াইটি ছিল মর্যাদার। তাই দুই দলই জিততে মরিয়া ছিল। মাঝে মধ্যে খেলোয়াড়রা মেজাজ হারিয়েছেন। 

ম্যাচের ৭২ মিনিটের দিকে কিংসের গ্যালারি ভেদ করে দর্শক  মাঠে প্রবেশ করে। নিরাপত্তারক্ষীরা দ্রুত মাঠ থেকে সরিয়ে নিতে চাইলেও সেই ব্যক্তি কিংসের ফুটবলারদের জড়িয়ে ধরেন। সচারচর ঘরোয়া ফুটবলে এমন দৃশ্য দেখা যায় না। 

এজেড/এটি/এইচএমএ