বিরিয়ানির ভুয়া বিল বানিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ লোপাটের ঘটনা ঘটেছে ভারতে। দেশটির জম্মু এবং কাশ্মীর ফুটবল সংস্থায় (জেকেএফএ) অদ্ভুত এই দুর্নীতির খবর ফাঁস হয়েছে। সম্প্রতি সংস্থাটির আর্থিক বিবরণী প্রকাশের পর জানা গেছে, বিরিয়ানির বিল বাবদ এক রেস্তোরাঁকেই সংস্থাটি দিয়েছে ৪৩ লাখ রুপি, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৫১ লাখ টাকারও বেশি।

জম্মু এবং কাশ্মীরের দুর্নীতিবিরোধী শাখার অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, যে বিরিয়ানির জন্য এত বড় অঙ্কের অর্থ শোধ করা হয়, সে বিরিয়ানি নাকি আসলে কারো পেটেই যায়নি, পুরো লেনদেনই ভুয়া। আর্থিক দুর্নীতির দায়ে এরই মধ্যে জেকেএফএ’র বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী শাখা। জেকেএফএ’র সভাপতি জামির ঠাকুর, কোষাধ্যক্ষ এসএস বান্টি, মুখ্য কর্তা এস এ হামিদ এবং সদস্য ফায়াজ আহমেদ সহ আরও বেশ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন >> কলা কিনতে খরচ ৪১ লাখ, ক্রিকেটারদের বেতন ১২০ টাকা!

জম্মু এবং কাশ্মীরের প্রখ্যাত ফুটবলার আব্দুল খালিক ভাটের ছেলে মুস্তাক আহমেদ ভাট প্রথম এই দুর্নীতির বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন। অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছে, প্রদেশের ফুটবলের উন্নতি এবং ম্যাচ আয়োজনের জন্য জম্মু এবং কাশ্মীর স্পোর্টস কাউন্সিল থেকে প্রায় ৬০ লাখ টাকা পেয়েছিল জেকেএফএ। খেলো ইন্ডিয়া এবং মুফতি মেমোরিয়াল গোল্ড কাপের মতো টুর্নামেন্টে ব্যবহারের জন্য সে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেই তহবিলের বেশিরভাগ টাকারই অপব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে জেকেএফএ’র বিরুদ্ধে।

বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, জম্মু এবং কাশ্মীরের ফুটবল দলগুলোকে বিরিয়ানি খাওয়ানোর খরচ বাবদ শ্রীনগরের এক রেস্তোরাঁকে পরিশোধ করা হয়েছে ৫১ লাখ ৬৮ হাজার ১০৬ টাকা। তবে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, কোনো দলই বিরিয়ানি পায়নি। খরচের যে বিল দেখানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া।

আরও পড়ুন >> পরকীয়া নিয়ে খোঁচা, গ্যালারিতে গিয়ে দর্শক পেটালেন ভারতীয় ক্রিকেটার

প্রতিটি ভুয়া বিলে একজন ব্যক্তিরই হাতের লেখার নমুনা পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেই ব্যক্তির পরিচয় অবশ্য এখনো জানা যায়নি। তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে জম্মু এবং কাশ্মীরের দুর্নীতিবিরোধী শাখা।

ইতিপূর্বে ভারতের উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট সংস্থায়ও এমন দুর্নীতির খবর সামনে এসেছিল। যেখানে কেটারিং বাবদ খরচ দেখানো হয়েছিল প্রায় ৫৮ লাখ টাকা, যার মধ্যে শুধু কলা কিনতে গিয়েছে ৪১ লাখ টাকা আর পানির বোতলের পেছনে খরচ ২৮ লাখ টাকা।

এইচএমএ/এটি