২০০৮ সাল থেকে পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী। ১৩ টি পেশাদার লিগ আয়োজনের পর এবার আর তিনি এই পদে থাকতে চাইছেন না। আজ পেশাদার লিগ কমিটির সভা শেষে এমনটি জানিয়েছেন তিনি। 

সাবেক এই ফুটবলার দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সরকার দলের সংসদ সদস্য। ব্যবসা ও রাজনৈতিক ব্যস্ততায় তিনি লিগ কমিটির চেয়ারম্যানের পদ ছাড়তে চান, ‘সামনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মেলন। আমার জেলা খুলনায় সপ্তাহে ৩-৪ দিন থাকতে হবে। এনভয় গ্রুপ পুরোটা আমার পরিবার নিয়ে নেওয়ায় সেখানেও অনেক সময় দিতে হয়। ফলে লিগ কমিটির দায়িত্ব পালনে সময় দেয়া আমার জন্য কষ্টকর।’ 

সালাম মুর্শেদী বাফুফের আরো দুটি সাব কমিটি ফিন্যান্স ও রেফারিজ কমিটির চেয়ারম্যান। ওই দুটি কমিটির দায়িত্ব না ছেড়ে লিগ কমিটির দায়িত্ব ছাড়ার কারণ সম্পর্কে বলেন, ‘ফিন্যান্সে চেক স্বাক্ষরে অনেক সময় যায়। সেই স্বাক্ষর সুবিধাজনক সময়ে যে কোনো জায়গায় করা যায়। কিন্তু লিগ কমিটিতে সার্বক্ষণিক সময় দিতে হয়।’

সালাম মুর্শেদী ফুটবলার থেকেই ব্যবসা ও রাজনৈতিক অঙ্গনে এসেছেন। ব্যবসা ও রাজনৈতিক কারণে ফুটবলের একটি দায়িত্ব ছাড়তে চাইলেও ফুটবলই তার সর্বাধিক প্রাধান্য বলে জানিয়েছেন, ‘ফুটবলের জন্যই আজকে আমার এই অবস্থান। এখনো ফুটবল আমার সবচেয়ে আবেগ ও গুরুত্বের জায়গা। বর্তমান ও বাস্তবিক প্রেক্ষাপটে লিগ কমিটির দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’ 

সালাম মুর্শেদী লিগ কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থাকতে চান না বিষয়টি বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে জানিয়েছেন। কাজী সালাউদ্দিন তাকে দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন। সালাম মুর্শেদী মৌখিকভাবে সালাউদ্দিনকে জানিয়েছেন কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি দেননি। আগামী মাসে বাফুফে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সভা হওয়ার কথা।

লিগ কমিটির সভাচলাকালীন সময়ে সালাম মুর্শেদী দায়িত্ব ছাড়ার বিষয়টি ক্লাব প্রতিনিধিদের জানাননি। মিডিয়া ব্রিফিংয়ের পর ক্লাব প্রতিনিধিরা তাকে দায়িত্ব পালনে অনুরোধে জানান। তবে সালাম মুর্শেদী আজকের সভাই লিগ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে শেষ সভা বলে জানিয়েছেন। 

বাফুফের এই কমিটির মেয়াদ আছে আর বছর দু'য়েক। এই মেয়াদ শেষে বাফুফেও ছেড়ে দেবেন কি না এই বিষয়ে অবশ্য কিছু বলেননি সালাম। 

এজেড/এনইউ/এটি