‘কোথাও মোদের হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা’– ভারতকে হারানোর পর বাংলাদেশ নারী দলের মনে যেন খেলা করছিল রবি ঠাকুরের এই গানই! হবেই বা না কেন? ভারতকে হারিয়ে যে রীতিমতো ইতিহাসই গড়া হয়ে গেছে!

ভারতকে প্রথমবার হারিয়ে আনন্দে আত্মহারাই হয়ে পড়েছিলেন সাবিনা-কৃষ্ণারা। তবে সামলে নিলেন দ্রুতই। খেলা শেষ হওয়ার মিনিট তিনেক পর সব খেলোয়াড় মাঠের মাঝবৃত্তের কাছাকাছি চলে গেলেন। সবাই মাটিতে মাথা নোয়ালেন। কয়েক সেকেন্ডে মাটিতে মাথা রেখেছে পুরো নারী দল। 

এভাবে সাবিনাদের জয় উদযাপন আগে দেখা যায়নি কখনো। এবার কেন এমন উদযাপন? এমন প্রশ্নের জবাব ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে দিলেন বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় এই জয়ের অন্যতম কারিগর কৃষ্ণা রাণী সরকার। বললেন, ‘ভারত এশিয়ার অনেক শক্তিশালী দল। তাদের হারিয়ে বাংলাদেশি হিসেবে আমরা গর্বিত। আমরা ভারতকে হারিয়েছি এটাই মূল বিষয়। এজন্য আমরা সবাই উপরওয়ালার কাছে মাথা নত করেছি।’ 

ম্যাচ শেষে এভাবেই স্রষ্টাকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের ফুটবলাররা/বাফুফে

কৃষ্ণা সিনিয়র পর্যায়ে ভারতের বিপক্ষে একাধিক হারের সাক্ষী। সেই ভারতকে আজ বাংলাদেশ তিন গোলে হারিয়েছে। তাও আবার পুরো ম্যাচে দাপটের সঙ্গে খেলে! এই প্রসঙ্গে কৃষ্ণা রাণী সরকার বলেন, ‘সিনিয়র পর্যায়ে আমরা অনেক খেললেও ফলাফল পাইনি। আজ সেটা বদলে দিয়েছি আমরা। ফলাফল পেয়েছি ও ভালোও খেলেছি। আমাদের টিম কম্বিনেশন ভালো ছিল এবং আগামীতেও থাকবে।’ 

সংবাদ সম্মেলনে কৃষ্ণা রাণী সরকার/বাফুফে

আগের দুই ম্যাচে বাংলাদেশ করেছে দশ গোল। তবে দলের সিনিয়র ফুটবলার কৃষ্ণা গোলের খাতায় নাম লেখাতে পারেননি। জানালেন, সেরা পারফর্ম্যান্সটা ভারতের জন্যই তুলে রেখেছিলেন, ‘আমি গত দুই ম্যাচে গোল পাইনি। দল জিতেছিল এতে আমি খুশি ছিলাম। আমার লক্ষ্য ছিল ভারতের বিপক্ষে গোল করা। আমি সেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আজ নিজে গোল করেছি ও করিয়েছি। এজন্য খুব আনন্দ লাগছে।’ 

ভারতের কোচ সুরেন কুমার ছেত্রী তিন গোলে হারের পেছনে তাদের বাজে পারফরম্যান্সকে দায়ী করেছেন, ‘আমরা ভালো খেলতে পারিনি। কিছু ভুল হয়েছিল এবং সেই ভুলের মাশুল দিতে হয়েছে। বাংলাদেশ ম্যাচে দারুণ খেলেছে। তাদের খেলার ধরনকে প্রশংসাই করি।’

এজেড/এনইউ