৩৬-এ পা রেখেও লিওনেল মেসি এখনো মুহূর্তের ঝলকে ম্যাচের মোড় বদলে দিতে পারেন। মাঠের উপস্থিতি, বল পায়ের কারিকুরির কারণে শেষ দশ বছরে ‘নতুন মেসি’ খেতাব কম খেলোয়াড় পাননি, তবে তাদের মেসির মতো এভাবে ম্যাচের মোড় বদলে দিতে পারেন না তাদের কেউই। জার্মান কিংবদন্তি লোথার ম্যাতায়াস অবশ্য এমন একজনের দেখা পেয়ে গেছেন। বায়ার্ন মিউনিখের তরুণ মিডফিল্ডার জামাল মুসিয়ালাকে দেখে অন্তত এমনটাই মনে হয় তার।

জামাল বয়সভিত্তিক পর্যায়ে খেলেছেন ইংল্যান্ড দলে। তবে সিনিয়র ক্যারিয়ারে তিনি বেছে নিয়েছেন জার্মানিকে। সম্প্রতি ডেইলি মেইলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইংল্যান্ডকে জামালের জন্য ধন্যবাদই দিয়ে বসেছেন ম্যাতায়াস। 

আরও পড়ুন>> মেসির নিশ্চিত গোল আটকে দিয়ে তোপের মুখে এমবাপে

জার্মান এই কিংবদন্তি জানালেন, জামালের খেলা এতটাই রোমাঞ্চকর যে তার ৮ বছর বয়সী ছেলেও তার ভক্ত হয়ে গেছে। বললেন, ‘তোমরা ইংল্যান্ডের তরুণ প্রজন্মের সেরা খেলোয়াড়টাকে জার্মানিতে দিয়ে দিয়েছো। সেই খেলোয়াড়টা হচ্ছে মুসিয়ালা। আমার আট বছর বয়সী ছেলের জন্য বায়ার্ন মিউনিখের ৪২ নম্বর জার্সিটা কিনতে হয়েছে, জার্মানির ১৪ নম্বর জার্সিটা। আমার ছেলে মুসিয়ালার জন্য রীতিমতো পাগল!’ 

‘ইংল্যান্ডকে তাই আমাদের ধন্যবাদ দিতেই হবে, তারা তাকে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। আমি জানি না কেন তাকে ইংল্যান্ডের জার্সিতে ধরে রাখার জন্য আপনারা আরও একটু চেষ্টা করলেন না! তাকে দলে পেয়ে আমরা বেশ খুশি।’ 

আরও পড়ুন>> মেসি-রোনালদোর ‘রেকর্ড’ ভেঙে অন্য উচ্চতায় নেইমার

এরপরই ম্যাতায়াস জানালেন, মুসিয়ালার বল পায়ের নৈপুণ্য তাকে মেসির কথা মনে করিয়ে দেয়, সেটা অবশ্য তিন বছর আগের মেসি যেমন খেলতেন। শেষ কয়েক বছরে মেসি গোল করছেন, করাচ্ছেনও। 

মুসিয়ালাও তেমন কিছুই করে চলেছেন। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তিনি খেলেছেন ১০ ম্যাচ, ৬ গোল করেছেন, করিয়েছেন ৩টি গোল। বার্সেলোনার বিপক্ষে দ্বিতীয় গোলটাও তিনিই গড়ে দিয়েছিলেন মুহূর্তের ঝলকে। এমন পারফর্ম্যান্স দেখেই ম্যাতায়াসকে মুগ্ধ করেছেন ১৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। 

আরও পড়ুন>> ‘মেসিকে চোট দিলে তোমাকে মেরেই ফেলব’ আর্জেন্টাইনকে আগুয়েরোর হুমকি

ম্যাতায়াসের ভাষ্য, ‘যখন সে মাঠে খেলে, তখন সে তিন বছর আগে মেসি যেমন খেলত, তেমন খেলে। তার সবকিছু আছে। গতি, ভালো ড্রিবল, শেষ পাস, গোল করার ক্ষমতা… সে বলটা পায়, সবসময় সামনেই এগোয়, আমার মতো, ইয়োগোস্লাভিয়ার বিপক্ষে যেমন আমি করেছিলাম। সে রক্ষণে কীভাবে ভালো করা যায় সেটাও শিখছে। সে পরিপূর্ণ খেলোয়াড় হয়ে উঠছে ধীরে ধীরে। ভবিষ্যতে সে বিশ্বসেরা খেলোয়াড়ই হবে।’

এনইউ/এটি