বাংলাদেশ ফুটবল দল নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়ে ফেলেছে। সেটাও আবার কখনো হারাতে না পারা নেপালকে তাদের মাটিতে হারিয়ে। বাংলাদেশের ফুটবলে আগে কখনো এমন দিন আসেনি। বাংলাদেশ আর কখনো নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বও ছুঁতে পারেনি।

তবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ফেসবুক পাতা দেখলে তা বোঝার উপায়ই নেই। আজকের দিনে সেখানে একটা পোস্টও হয়নি নারী ফুটবল দল নিয়ে!

তাই বলে বাফুফের ফেসবুক পাতায় পোস্ট হওয়া বন্ধ নেই। এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে, তার ৪৪ মিনিট আগে হয়েছে সবশেষ পোস্ট। যেখানে সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল লিগের মহাখালী একাদশ ও ইস্ট এন্ড ফুটবল ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচের ফলাফল বর্ণনা করা হয়েছে।

নারী সাফের ফাইনালের শেষ বাঁশি বাজার পর থেকে এই পোস্টের আগে আরও দুটো পোস্টও করা হয়েছে। সে পোস্ট দুটোও এই সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল লিগ নিয়েই।

আজ যখন নারী সাফের ফাইনালে ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায় ছিল বাংলাদেশ, তখনও কোনো পোস্ট করা হয়নি সাবিনাদের নিয়ে। গতকাল রাত ১২টা থেকে এই প্রতিবেদন লেখার আগ পর্যন্ত কোনো পোস্টই নেই এই বিষয়ে!

বাংলাদেশ যে নেপালের মুখোমুখি হচ্ছে এই ফাইনালে, এই খবরটা পেতে হলে স্ক্রল করে আপনাকে চলে যেতে হবে গতকাল বিকেলে। সাবিনা খাতুনের সংবাদ সম্মেলন আর ফাইনালের আগের ফটোসেশনের ছবি শোভা পাচ্ছে বাফুফের ফেসবুক পেজে। সেই শেষ, এরপর বাংলাদেশ আজ ম্যাচে নেমেছে, গুনে গুনে করেছে তিন গোল। শেষ পর্যন্ত হয়েছে সাফ চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু বাফুফের ফেসবুক পেজ যেন গোসসা করেছে, তারা এ বিষয়ে কঠিন নীরব!

ফটবলার সানজিদা আক্তার গতকাল তার ফেসবুক পাতায় একটা পোস্ট করেছিলেন, যা আজ ফাইনালের আগে ছড়িয়ে পড়েছিল বাংলাদেশের সামাজিক মাধ্যমে। সেখানে সানজিদা জানিয়েছিলেন, ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাসে ট্রফি নিয়ে না দাঁড়ালেও চলবে, সমাজের টিপ্পনী একপাশে রেখে যে মানুষগুলো আমাদের সবুজ ঘাস ছোঁয়াতে সাহায্য করেছে, তাদের জন্য এটি জিততে চাই।

বাফুফে সানজিদাদের ছাদখোলা বাস দেয় কি না, তা সময়ই বলে দেবে। তবে তার আগে অন্তত একটা ফেসবুক পোস্ট তো সানজিদা, সাবিনাদের প্রাপ্যই ছিল। সেটাও দিতে পারল না কাজী সালাউদ্দিনের বাফুফে! 

এনইউ