বাংলাদেশের ফুটবলে অন্যতম বড় অর্জন সাবিনাদের সাফ জয়। এত বড় এই অর্জন যারা এনে দিয়েছেন তাদের পারিবারিক আর্থসামাজিক অবস্থা বেশ নড়বড়ে। ফুটবল খেলে তাদের পরিবার সাবলম্বী হচ্ছে।

এত বড় অর্জনের পর সাবিনাদের জন্য সরাসরি কোনো পুরস্কার ঘোষণা করেনি বাফুফে। আজ মঙ্গলবার বাফুফে ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কাজী সালাউদ্দিন সাবিনাদের প্রশংসা করলেও অর্থ পুরস্কার নিয়ে কিছু বলেননি।

ক্রীড়ামোদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরই ক্রীড়াঙ্গনের সাফল্যে পুরস্কার দিয়েছেন। সাফ জয়ী নারীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দিকেই তাকিয়ে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, ‘আমাদের মেয়েরা ভালো করলে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে থেকে ডেকেই তাদের উপহার দেন। প্রধানমন্ত্রী ভালো করেই জানেন মেয়েরা এটা করেছে। আশা করছি, ওনার কাছ থেকে একটা ভালো উপহার ও সংবর্ধনার ব্যবস্থা করা হবে। এর সঙ্গে আরও কিছু কিছু জায়গা থেকে স্পন্সররা আলাপ করছে। এসব কিছু আসার পরে আমার বিশ্বাস মেয়েরা খুশি হবে।’

মেয়েদের এত বড় অর্জনের পর সাবিনাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়বে কি না জানতে চাইলে কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমি তো চাই টাকা থাকলে প্রত্যেকটা মেয়েকে ২ কোটি টাকা করে দিয়ে দিতে। তবে আমার কাছে তো সেই টাকাটা থাকতে হবে। যা আনতে পারব, সেগুলো এই মেয়েদেরকেই দেব। কারণ তাদের যত দেব, ততই আমরা পাব।’

ক্রীড়াঙ্গনে নারী পুরুষের সম্মানীর বৈষম্য নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থাকেই। বাংলাদেশের নারীরাও খুব সামান্য অর্থ পান। এই বিষয়ে সভাপতি বলেন, ‘ছেলে-মেয়েদের সমান পারিশ্রমিক হতে পারে না ফুটবল দুনিয়ায়। এমবাপ্পের সাইনিং মানি ৩০০ মিলিয়ন। মেয়েদের সেরা খেলোয়াড় পায় ৪ মিলিয়ন।’ 

মেয়েদের এই অর্জনের জন্য তিনি বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাফুফে নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণকে, ‘ধন্যবাদ জানাই নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণকে। তিনি ব্যক্তিগতভাবে অনেক কষ্ট করেছেন, সময় দিয়েছেন। পরিকল্পনায় ছিলাম আমি, কিরণ ও টেকনিক্যাল ডিরেক্টর। এরপর মেয়েদের ছোটনকে কোচ হিসেবে নিয়েছি টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের সঙ্গে মিলে কাজ করার জন্য। তাদের অধীনে ট্রেনিং করেছে। আমরা ওদের থাকা-খাওয়া, মাসিক ভাতা দিয়েছি। মেয়েদের রিলিজ করতে কোনো টাকা বাফুফে নেয়নি। যাতে ক্লাব থেকে যা পায় তা যাতে তারাই পায়। আমরা সব ধরনের সহায়তা দিয়েছি।’

এজেড/এটি