সাফ নারী চ্যাম্পিয়ন দল গতকাল বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলেও তারা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। গতকাল পরিশ্রান্ত অবস্থায় তেমন আলোচনা হয়নি, আজ বিকেলে অনেক বিষয়ে কথা হয়েছে। 

কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন, ‘আমাদের তো চাওয়ার শেষ নেই; এরপরও মূলত প্র্যাকটিস ফ্যাসিলিটিজ ও সম্মানীর বিষয়ে কথা বলেছি। সভাপতি স্যার আমাদের বিষয়টি বাস্তবায়ন করবেন বলে জানিয়েছেন।’  

বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা মাসিক সম্মানী পান তিন ক্যাটাগরিতে। কেউ ৮ হাজার, কেউ ১০ আবার কেউ ১২ হাজার টাকা পান। সাবিনাদের প্রস্তাব ছিল সম্মানী বাড়ানোর। সেই সম্মানী বাড়িয়ে কতটা দাবি করেছেন সেটা অবশ্য বলেননি, ‘আমরা একটা অঙ্ক বলেছি, ফেডারেশন সেটা দেখবে।’  

২০০৯ সাল থেকে নারী দলের সঙ্গে আছেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। তার সম্মানী বাড়বে কি না এই প্রসঙ্গে ছোটন বলেন, ‘আমরা দিনের অধিকাংশ সময় ফুটবলেই দিই। বাসায় মেহমান হিসেবেই থাকি। মাস শেষে আমাদের সম্মানী বাড়লে, বাসায় সম্মানও বাড়বে। সাবিনাদের সঙ্গে আমাদের বিষয়টিও সভাপতি মহোদয় বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।’

সম্মানী ছাড়া অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কথা হয়েছে। আধুনিক ফুটবলে অনুশীলন এখন বিজ্ঞান-প্রযুক্তি নির্ভর। অনুশীলন আরো ভালো করতে নারী দলে আরো একটি জিপিএস চেয়েছেন তারা, ‘আমরা অনুশীলনে সুবিধার জন্য আরেকটি জিপিএস চেয়েছি। আশা করি কিছুদিন পর পাব।’

আজকের সভার পর সাবিনাদের ছুটিও মিলেছে। ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২০ দিন ছুটি পাবেন সাবিনারা। ছুটি পাওয়ার আগ পর্যন্ত নারী ফুটবলাররা বাফুফে ভবনেই থাকবেন। 

এজেড/এটি