কিংসের ভেন্যু মালে, অপেক্ষায় বাংলাদেশ
বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কাপের ডি গ্রুপে স্বাগতিক হওয়ার জন্য আবেদন করেছিল তিন ক্লাব অ্যাতলেতিকো মোহনবাগান, বসুন্ধরা কিংস ও মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস এন্ড রিক্রিয়েশন। ২২ ফেব্রুয়ারি এএফসি’র ভেন্যু নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর দিনক্ষণ। এক সপ্তাহ পর আজ (রোববার) এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন এএফসি কাপের ভেন্যু আনুষ্ঠানিকবাবে জানিয়েছে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন কিংসকে এএফসি কাপ খেলতে মালদ্বীপে যেতে হবে। ডি গ্রুপে খেলা মালদ্বীপের মালেতে অনুষ্ঠিত হবে। ভারতের মোহনবাগান কলকাতার সল্টলেকে ও কিংস বাংলাদেশের সিলেটে আয়োজক হতে চেয়েছিল। এএফসি শেষ পর্যন্ত মাজিয়াকে ডি গ্রুপের স্বাগতিক হিসেবে বেছে নিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
কিংসের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজন মালে স্টেডিয়ামে ভেন্যু প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি মালদ্বীপে দেড় বছর (রেডিয়েন্ট ক্লাব) কোচিং করিয়েছি। মালে স্টেডিয়াম সবার জন্যই ভালো হবে। আমরা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যেই মালদ্বীপে যাব।’ ১৫ ফেব্রুয়ারি ছিল স্বাগতিক হওয়ার জন্য আবেদনের শেষদিন। ১৫ ফেব্রুয়ারির আগেই আবেদন করেছিল অ্যাতলেতিকো মোহনবাগান। বাংলাদেশের কিংস আবেদন করেছিল অবশ্য দুই দিন পর।
এএফসি কাপ সাধারণত হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে হয়। এবার অবশ্য করোনার কারণে একটি নির্দিষ্ট ভেন্যুতে গ্রুপের খেলা হবে। ১৪-২০ মে হবে ডি গ্রুপের খেলা। কিংসের প্রতিপক্ষ মোহনবাগান, মালদ্বীপের মাজিয়া ও প্লে অফ থেকে আসা দল। প্লে অফে ভূটান/মালদ্বীপ/শ্রীলঙ্কার দলের সঙ্গে বাংলাদেশের ঢাকা আবাহনীও খেলবে।
বিজ্ঞাপন
এএফসি কাপের ভেন্যু অবশেষে জানা গেলেও বাংলাদেশ জাতীয় দলের ম্যাচ নিয়ে এখনো কিছু জানায়নি। আফগানিস্তান বাংলাদেশে আসতে চায় না, বাংলাদেশও হোমের সুবিধা ছাড়তে চায় না। এই প্রেক্ষিতে ২৫ মার্চের বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের ম্যাচের ভেন্যু এখনো জানাতে পারেনি এএফসি।
এই বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় দলের ব্রিটিশ হেড কোচ জেমি ডে, ‘আমরা অনেক দিন যাবত অপেক্ষায় আছি এএফসি’র সিদ্ধান্ত নিয়ে। এএফসির সিদ্ধান্ত না আসলে পরিকল্পনাও করা যাচ্ছে না।’
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ এ ম্যাচ নিয়ে এএফসি'র অবস্থান সম্পর্কে বলেন, ‘এএফসি বিষয়টি আমাদের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। এএফসি জানিয়েছে আফগানিস্তান মার্চে আসতে চায় না বাংলাদেশে নানা কারণে এর পরিবর্তে জুনে খেলতে চায়। আমরা আফগানিস্তানকে বুঝিয়ে আনতে পারলে এএফসির সম্মতি থাকবে। আমরা আফগানিস্তানকে পুনরায় বাংলাদেশে আসার জন্য চিঠি দেব।’
এজেড/এটি/এমএইচ