‘আমি একে (২০২২ বিশ্বকাপ) আমার শেষ হিসেবে দেখছি’–বছরখানেক আগে এক সাক্ষাৎকারে যখন এ কথা বলেছিলেন, তখন রীতিমতো আলোচনার জন্মই দিয়েছিলেন নেইমার। আলোচনা এখনো কম চলছে না, কেন মাত্র ৩০ বছর বয়সেই ‘শেষ বিশ্বকাপটা’ খেলে ফেলবেন তিনি? 

ব্রাজিল কোচ তিতেরও মনে হচ্ছে, এটাই নেইমারের শেষ বিশ্বকাপ নয়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, নেইমারের যে শারীরিক সক্ষমতা আছে, তাতে পিএসজি তারকা অন্তত ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলে যেতেই পারেন।  

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম লান্সেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এটাই নেইমারের শেষ বিশ্বকাপ নয়, অতি অবশ্যই নয়।’

গেল বছর অক্টোবরে ডিএজিএনের বিশেষ এক অনুষ্ঠান ‘নেইমার অ্যান্ড দ্য লাইন অফ কিংস’-এ নেইমার বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ। সে কারণে আমি ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে, দলের হয়ে শিরোপা জিততে, আমার শৈশবের স্বপ্ন পূরণ করতে সবকিছুই করব। আর আশা করছি, আমি সেটা করতে পারব।’

নেইমারের গুরু তিতে সম্প্রতি ব্যাখ্যা করলেন কেন এই বিশ্বকাপটাই নেইমারের শেষ হয়ে যাবে না। তার অভিমত, নেইমার যেমন উদ্যমী, চটপটে আর গতিশীল খেলোয়াড়, তাতে তিনি অনায়াসে খেলতে পারবেন ৩৫ বছরের বেশি বয়স পর্যন্ত। 

শিষ্য নেইমারকে কোচ তিতে তুলনা করলেন মেসির সঙ্গেও। বয়স ৩৫ পেরিয়ে গেলেও লিওনেল মেসি এখনো দিব্যি খেলে যাচ্ছেন ইউরোপের শীর্ষ স্তরে। সাত বারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ীর সতীর্থ নেইমারেরও একই রকম শারীরিক সক্ষমতা আছে বলে মনে করেন ব্রাজিল কোচ। সে কারণেই আরও অনেক বছর ফুটবলের শীর্ষ পর্যায়ে খেলে যেতে পারবেন নেইমার, বিশ্বাস তিতের। 

তবে আরও যত বছরই খেলুন নেইমার, বিশ্বকাপটা যে এবারই জিতে ফেলতে চাইবেন তিনি, তা বলাই বাহুল্য। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই নিয়ে তিনি খেলবেন নিজের তৃতীয় বিশ্বকাপ। ২০১৪ সালে দলকে সেমিফাইনালে তুললেও তিনি নিজে খেলতে পারেননি চোটের কারণে, সে ম্যাচে জার্মানদের কাছে ৭-১ গোলে হেরে ব্রাজিল বিদায় নিয়েছিল বিশ্বকাপ থেকে। এরপর ২০১৮ বিশ্বকাপে সদ্য চোটফেরত নেইমার দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন কোয়ার্টার ফাইনালে, সেবার বেলজিয়ামের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল তার দলকে।

এনইউ