বিশ্বকাপের হায়া ফ্যান কার্ড থাকলেই এবার পাওয়া যাবে ওমরাহ পালনের সুবিধা। সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরবের সরকার, জানাচ্ছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম। 

গতকাল শুক্রবার সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভিসা বিভাগের সহকারী সাধারণ পরিচালক খালেদ আল শাম্মারি আল আখবারিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন বিষয়টি। সেখানে তিনি বলেছেন, আগামী ১১ নভেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর, বা বিশ্বকাপের মৌসুমে হায়া কার্ডধারী দর্শকরা সৌদি আরবে প্রবেশ করতে পারবেন, তাদের ওমরাহ পালনেও থাকবে না কোনো বাঁধা। 

গত মঙ্গলবার সৌদি সরকার হায়া কার্ডধারীদের জন্য তাদের পক্ষ থেকে বাড়তি সুযোগ সুবিধার বিষয়টি জানায়। হায়া কার্ডধারীদের স্বাগত জানিয়েছে রিয়াদ। এর আগে চলতি বছরের আগস্টে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হায়া কার্ডধারীদের ৬০ দিনের জন্য সৌদি প্রবেশে কোনো বাঁধা থাকবে না।

কাতার ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের টিকিট কেনার পর দর্শকদেরকে এই হায়া কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে। এই কার্ড সঙ্গে থাকলে ম্যাচের দিন টিকিটধারীদের বিনামূল্যে গণপরিবহন ব্যবহারসহ আরও বিভিন্নরকম সুবিধা দেবে আয়োজকরা।

হায়া কার্ড আন্তর্জাতিক দর্শকদের জন্য কাতারের মাটিতে এন্ট্রি পারমিট হিসাবে কাজ করবে। এই কার্ডধারী নিজের সঙ্গে আরও তিনজনকে নিতে পারবেন কাতারে। এখানেই শেষ নয়, ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিশ্বকাপ দেখার সুযোগ করে দিতে পারবেন হায়া কার্ডধারী। 

এই হায়া কার্ডের জন্য দুটো কেন্দ্র খুলবে বলে জানিয়েছে কাতার কর্তৃপক্ষ। পশ্চিম উপসাগরের আলী বিন হামাদ আল আত্তিয়াহ এলাকা এবং দোহা এক্সিবিশন অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে দুটি হায়া কার্ড সেন্টার শিগগির খোলা হবে। সম্প্রতি সুপ্রিম কমিটি ফর ডেলিভারি অ্যান্ড লিগ্যাসি (এসসি) এর হায়া প্ল্যাটফর্মের নির্বাহী পরিচালক, সাইদ আলি আল-কুওয়ারি সম্প্রতি আল কাস টিভিকে জানিয়েছেন বিষয়টি।

সেখানে জানানো হয়, বিশ্বকাপের টিকিটধারীরা এই কেন্দ্রগুলিতে তাদের হায়া কার্ড পাবেন। যারা বিশ্বকাপ ম্যাচের টিকিট কিনেছেন তারা ওয়েবসাইটে কার্ডের আবেদন করতে পারবেন। তিনি আরও জানান, যারা টিকিট কিনেছেন এবং হায়া কার্ড পেয়েছেন, তারা ১ অক্টোবর থেকে ভিসা পেতে শুরু করেছেন। তাদের ইমেইলে ভিসা পাঠানো হচ্ছে। এই হায়া কার্ড আগামী ১ নভেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাতারের প্রবেশ ভিসা হিসাবে বিবেচিত হবে। এই হায়া কার্ড থাকলে এবার সৌদি আরবে এন্ট্রি ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে। যার মাধ্যমে পাওয়া যাবে ওমরাহ পালনের সুবিধা।

এনইউ/এটি