উসমান দেম্বেলের ওপর যেন গত রাতে লিওনেল মেসিই ভর করে বসেছিলেন। গোল করেছেন, করিয়েছেন সতীর্থদের দিয়ে; শেষ কয়েক বছরে এমনটা বার্সেলোনায় করেছেন মেসি, আর্জেন্টিনায় আর পিএসজিতে এখনো করে চলেছেন! সেটা গত রাতে দেম্বেলে করলেন। অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের জালে গোল উৎসব করল বার্সেলোনা, তার প্রতিটিতেই ছোঁয়া ছিল তাঁর। বাস্ক দলটিকে ৪-০ গোলে হারিয়ে রিয়ালের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়েছে বার্সা।

আগের রাতে সেভিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়ে রিয়াল বার্সার সঙ্গে ব্যবধানটা নিয়ে গিয়েছিল ৬ পয়েন্টে। গত রাতের জয়ে সেটা আবারও নেমে এসেছে তিনে।

চার জনের মাঝমাঠ নিয়ে বার্সাকে খেলতে দেখা যায় না খুব একটা। কোচ জাভি সেই কৌশলেই গিয়েছিলেন গত রাতে। অধিনায়ক সার্জিও বুসকেটস, পেদ্রি গনজালেস, পাবলো গাভি ও ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংকে নিয়ে সাজিয়েছিলেন মাঝমাঠ, যেন বিলবাওয়ের প্রতি আক্রমণ রুখে দেওয়া যায় শুরু থেকেই। 

তার ছাপটা খেলাতেও পড়েছে বেশ। শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ছিল বার্সা, প্রতি আক্রমণে ত্রাস ছড়াতে পারেনি সফরকারী বিলবাও। গোল উৎসবের শুরু ১২ মিনিটে, দেম্বেলে বক্সের বাইরে থেকে দারুণ গতির একটা শট করেছিলেন, যা ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন বিলবাও গোলরক্ষক উনাই সিমন। ফিরতি বলে রবার্ট লেভান্ডভস্কি ক্রস করেছিলেন মাঝে, ডিফেন্ডারের জটলার মাঝে থেকে দেম্বেলের করা এক হেডার গিয়ে আছড়ে পড়ে সফরকারীদের জালে। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় বার্সা।

এর মিনিট ছয়েক পর দেম্বেলের বাড়ানো বল থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সার্জি রবার্তো। ২২ মিনিটে আবারও বার্সার গোল, এবারে স্কোরশিটে উঠল রবার্ট লেভান্ডভস্কির নাম। দেম্বেলের বাড়ানো বল বক্সে দারুণভাবে ঘুরে আয়ত্বে নিয়ে বিলবাওয়ের জালে জড়ান তিনি। 

২৬ মিনিটে খানিকটা দুশ্চিন্তাই ভর করেছিল বার্সা শিবিরে। প্রতিপক্ষের বাধা পেয়ে আহত হন সদ্যই বর্ষসেরা উদীয়মান ফুটবলারের খেতাব জেতা গাভি। সঙ্গে সঙ্গে মাঠ ছাড়েন তিনি। 

তার প্রস্থানের ছাপটা যেন মাঠেও পড়ল, বিরতির আগে আর গোল পেল না জাভির দল। দ্বিতীয়ার্ধে পেল মোটে একটা। ৭৭ মিনিটে দেম্বেলের পাস থেকেই ফেররান তরেস করলেন গোলটা। তাতেই বার্সা ৪-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

এই জয়ের ফলে ১১ ম্যাচ থেকে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগের দ্বিতীয় অবস্থানেই রইল বার্সা। শীর্ষে থাকা রিয়ালের সংগ্রহ সমান ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট। আর বিলবাও এই হারের পর ১১ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে নেমে গেছে তালিকার ষষ্ঠ স্থানে।

এনইউ