জিতলেই লা লিগার শীর্ষে, এমন সমীকরণ নিয়ে গত রাতে ভ্যালেন্সিয়ার মাঠ মেস্তায়ায় নেমেছিল বার্সেলোনা। তবে দলের ফরোয়ার্ডদের পারফর্ম্যান্সে সেই জয়টাকে মনে হচ্ছিল দূর আকাশের তারা! তবে দলটিকে শেষমেশ রক্ষা করেছেন রবার্ট লেভান্ডভস্কি, তার শেষ সময়ের গোলেই বার্সা হারিয়েছে ভ্যালেন্সিয়াকে, রিয়াল মাদ্রিদকে হটিয়ে উঠে এসেছে লা লিগার শীর্ষেও। 

স্কোরলাইন দেখে ম্যাড়মেড়ে মনে হলেও মেস্তায়ায় ম্যাচটা হয়েছে তার ঠিক উল্টো। বার্সেলোনা এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে বেশ ক’বার। ১২ মিনিটে পেদ্রির পাস থেকে আনসু ফাতি বল মেরে বসেন গোলরক্ষকের গায়ে। তবে ২২ মিনিটে সে ভুলটা আর করেননি তিনি। লেভান্ডভস্কির কাছ থেকে তার কাছে চলে আসা বলটা প্রথম ছোঁয়াতেই পাঠান ভ্যালেন্সিয়ার জালে, তবে সেটা বাতিল হয় অফসাইডের কাটায়।

এরপর দুর্ভাগ্যও সঙ্গী হয়েছে বার্সার। ৪২ মিনিটে লেভান্ডভস্কির হেডার গিয়ে প্রতিহত হয় গোলপোস্টে। ফলে গোলশূন্যভাবেই বিরতিতে যায় দুই দল। বিরতির পর বক্সে ভেসে আসা বল বার্সার জালে পাঠান স্বাগতিক ফরোয়ার্ড স্যামুয়েল লিনো। তবে শেষমেশ সেটা বাতিল হয় ভিএআর যাচাইয়ের পর, দেখা যায় বলটা আয়ত্বে নিতে হাতের ব্যবহার করেছিলেন তিনি। 

এরপর ফেররান তরেস ৮২ মিনিটে সুযোগ পেয়েছিলেন বার্সার জয়সূচক গোলটা করার। কিন্তু পেদ্রির পাসটায় তিনি ঠিকঠাক শটই করতে পারেননি! ফলে গোলের অপেক্ষাটা ক্রমে বাড়তেই থাকে বার্সার, বাড়তে থাকে উৎকণ্ঠাও।

শেষমেশ বার্সাকে সে উৎকণ্ঠা থেকে মুক্তি দেন লেভান্ডভস্কি। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হয়ে তখন চলছে যোগ করা সময়ের খেলা, তখনই বক্সের বাইরে থেকে রাফিনিয়ার লং বল দারুণভাবে প্রতিপক্ষ জালে জড়ান লেভা। তার এই গোলেই বিজয়ীর হাসি হাসে বার্সা।

এই জয়ে বার্সা রিয়ালকে টপকে লিগের শীর্ষে উঠে এসেছে। রিয়ালের চেয়ে ম্যাচ অবশ্য একটি কম খেলেছে কোচ জাভি হার্নান্দেজের দল। বর্তমানে বার্সার সংগ্রহ ১২ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট, এক ম্যাচ কম খেলে রিয়ালেরও অর্জন সমান। আজ রাতে জিরোনাকে হারাতে পারলেই আবার হারানো জায়গা ফেরত পাবে বার্সা।

এনইউ