নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ। প্রকৃতিতে শীতের আমেজ। শুক্রবার ছুটির দিনে নিষ্প্রাণ মতিঝিল-আরামবাগ এলাকার প্রাণ ফিরে আসল ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানের ফুটবল দলবদলে। ব্যান্ড, বাদ্য ও ঘোড়ার গাড়িতে করে দলবদল করেছে সাদা কালো ক্লাবটি। 

হাজারের অধিক সমর্থক ভিড় করেছিলেন ক্লাব প্রাঙ্গনে। ক্লাব ভবন থেকে বাফুফে ভবনের দূরত্ব মাত্র কয়েক শ গজ। ক্লাব পাড়ার মধ্য দিয়ে না এসে ঘোড়ার গাড়ি ও ব্যান্ডসহ মতিঝিল মূল রাস্তা দিয়ে বাফুফে ভবনে পৌছায় সাদা কালোরা। সাম্প্রতিক সময়ে জাকজমকপূর্ণ দলবদল কার্যক্রম হয় না। মোহামেডান সেই পুরনো স্মৃতি জাগিয়ে তুলেছে। 

বাফুফে সহ-সভাপতি ও লিগ ম্যানেজম্যান্ট কমিটির আহ্বায়ক আতাউর রহমান ভূইয়া মানিক মোহামেডানের এই উদ্যোগ দেখে ফিরে গেছেন তার শৈশবে, ‘আগে মোহামেডান ও আবাহনীর দলবদল হতো অত্যন্ত বর্ণিল। ঢাকার নানা জায়গা থেকে তো বটেই , বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন আসত। মোহামেডানের আজকের এই দলবদল সেই দিনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।’
 
বাফুফে সভাপতি হিসেবে কাজী সালাউদ্দিন আছেন ১৪ বছর ধরে। বিগত লিগগুলোর কোনো সময় তিনি দলবদল কার্যক্রমে উপস্থিত থাকেননি। এবার তিনি নিজেই লিগ কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন। তাই মোহামেডানের দলবদলের সময় উপস্থিত ছিলেন।সালাউদ্দিনের উপস্থিতির জন্য মোহামডোন ক্লাবের কোচ ও কর্মকর্তারা ধন্যবাদ জানিয়েছেন। 

কাজী সালাউদ্দিনের ফুটবলার হিসেবে প্রায় দেড় যুগের ক্যারিয়ার। সেখানে এক যুগের বেশি সময় কেটেছে ঢাকা আবাহনীতে। স্বাধীনতার পর সালাউদ্দিন আবাহনীতে কাটালেও তার পেশাদার ফুটবলার হিসেবে এক বছর কেটেছে মোহামেডানে। সাদা কালো জার্সির দিনগুলো স্মরণ করলেন এভাবে, ‘মোহামেডান অবশ্যই অনেক বড় ক্লাব। এই ক্লাবের প্রতি আমার সব সময় সমীহ রয়েছে। আমার প্রত্যাশা থাকবে মোহামেডান তাদের সেই আগের ঐতিহ্যের জায়গায় ফিরে যাবে।’ 

মোহামেডানের ফুটবলকে পুর্নজাগরণের জন্য বিশেষভাবে কাজ করছেন ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর। এই দলবদলের মাধ্যমে তিনি মোহামডোন ক্লাবের জাগরণ দেখছেন, ‘মোহামেডান ক্লাব সমর্থকপুষ্ট দল। আমরা মোহামেডানের সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে চাই। সেই লক্ষ্যে আমাদের দল গড়া।’

মোহামেডানের শীর্ষ পর্যায়ের চার-পাঁচ জন পরিচালক, সাবেক তারকা ফুটবলার সৈয়দ রুম্মন বিন ওয়ালী সাব্বির, ইমতিয়াজ সুলতান জনি সহ আরো অনেকে দলবদলে উপস্থিত ছিলেন।

এজেড/এনইআর