কাতারের সংস্কৃতিকে সম্মান করতে হবে দর্শকদের
মধ্যপ্রাচ্যের কোনো মুসলিম দেশ হিসেবে প্রথমবার ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে কাতার। বিশ্ব আসরের আয়োজনকে বাস্তবে রূপ দিতে দেশটিকে পশ্চিমা মিডিয়ার বাধার মুখে পড়তে হয়েছে বেশ কয়েকবার। কিন্তু সেসব বাধা শক্তভাবে মোকাবিলা করে সফল টুর্নামেন্ট আয়োজনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আরব দেশটি।
চলতি মাসের শেষভাগে মাঠে গড়াবে ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপ। বিশ্ব ফুটবলের এ ক্রীড়াযজ্ঞকে সামনে রেখে এখন থেকেই কাতারে পাড়ি জমাতে শুরু করেছেন বিভিন্ন দেশের দর্শকরা। বিদেশি দর্শকদের টিকিটের কোটাও ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বিশ্ব আসরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিইও নাসের আল খাতার। গুরুদায়িত্ব সামলানো এ সংগঠক জানিয়েছেন, কাতারের বিশ্বকাপ নিয়ে উন্মাদনার কোনো কমতি নেই দর্শকদের মধ্যে। তবে বিদেশি দর্শকদের অবশ্যই কাতারের আঞ্চলিক সংস্কৃতিকে সম্মান জানাতে হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল ফোকাস এখন টুর্নামেন্টের দিকে। কীভাবে এটাকে সফলভাবে আয়োজন করা যায় সেটা নিয়েই ভাবছি আমরা।বিশ্বকাপের টিকিটের জন্য মোট ৪০ মিলিয়ন মানুষের আবেদন পেয়েছি। ইতোমধ্যে তিন মিলিয়ন টিকিট বিক্রি হয়েছে আর এটাই ছিল নির্ধারিত দর্শক সীমা। আমাদের এখানে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু অবশ্যই আমাদের সংস্কৃতিকে সম্মান করতে হবে সবাইকে।’
বিজ্ঞাপন
আগামী ২০ নভেম্বর ইকুয়েডরের বিপক্ষে কাতারের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে এবারের ফুটবল বিশ্বকাপ। ৩২ দলের এ বিশ্ব আসরের পর্দা নামবে ডিসেম্বরের ১৮ তারিখ।
এনইআর