মারিয়া-তহুরার কথা শুনলেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের নারী ফুটবলের সর্বোচ্চ অর্জন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। সেই চ্যাম্পিয়ন ট্রফি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে দেয়ার জন্য অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন মঞ্চের দিকে হাঁটছিলেন। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী শুধু কোচ, অধিনায়ক নয় পুরো দলকেই ডেকে নেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাফ জয়ী পুরো দল ছবি তোলে। ছবি তোলা শেষে মঞ্চ থেকে একে একে অন্যরা নামলেও অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, সহ অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা ও ফরোয়ার্ড তহুরা খাতুন কয়েক মিনিট মঞ্চে থাকেন। মারিয়া মান্ডা ও তহুরা খাতুন তাদের ব্যক্তিগত ও এলাকার কিছু বিষয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন।
বিজ্ঞাপন
জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা বলেন, ‘আমাদের বাড়ি নেতাই নদীর তীরে। নদী ভাঙনের ফলে আমাদের অনেক সমস্যা হয় এবং বর্ষার দিনে সবার কষ্ট হয়। নদীতে বাঁধ এবং এলাকায় ব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজনের কথা প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি।’ প্রধানমন্ত্রী মারিয়ার কথা বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। মারিয়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে একটি আবেদন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের কাছে দিয়েছেন।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অনেক সদস্যই ময়মনসিংহের কলসিন্দুর গ্রামের। সেই কলসিন্দুর গ্রামে একটি জায়গা কিনেছিলেন জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড তহুরা খাতুন। প্রধানমন্ত্রী নারী ফুটবল দলকে সব সময় উৎসাহ অনুপ্রেরণা দেন। প্রধানমন্ত্রী একবার নারী ফুটবলারদের ১০ লাখ করে পুরস্কার দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই অর্থ দিয়ে তহুরার পরিবার কলসিন্দুরে জায়গা কেনে। সেই জায়গাটি ব্যক্তি মালিকানাধীন নয়, সরকারি খাস জমি। এ নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন তহুরা। নিজের জমির বিষয় নিয়ে তহুরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
বিজ্ঞাপন
মাঠে খেলোয়াড়দের যেমন আগলে রাখেন সাবিনা। প্রধানমন্ত্রীর সামনে তহুরা ও মারিয়া যখন কথা বলছিলেন তখনও তাদের সঙ্গে ছিলেন অধিনায়ক সাবিনা। তিনি বেশ কয়েকবারই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আজকের দিনটি তার কাছে ভিন্ন, ‘এর আগেও অনেকবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। আজ অধিনায়ক হয়ে প্রধানমন্ত্রী ট্রফি তুলে দেয়ার মুহূর্ত অন্য সব দিনের চেয়ে ভিন্ন। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত মমতাময়ী। তিনি সবাই ডেকে একসঙ্গে ছবি তুললেন এবং মারিয়া ও তহুরার সাথে আলাপও করেছে।’
সাফ জয়ী নারী ফুটবলাররা ৫ লাখ ও কোচ, কর্মকর্তারা ২ লাখ করে আর্থিক পুরস্কার পান। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ দলের দলনেতা জাকির হোসেন চৌধুরি তার অর্থ খেলোয়াড়দের মধ্যে বন্টন করে দিয়েছেন। ইতোপূর্বেও তিনি দলনেতা হিসেবে পাওয়া অর্থ ফুটবলারদের দিয়েছেন।
এজেড/এনইউ