কাতার বিশ্বকাপের ড্রয়ের পর থেকেই মূলত ইরান, যুক্তরাষ্ট্র আর ইংল্যান্ডের গ্রুপটা নিয়ে চলছিল আলোচনা। রাজনৈতিকভাবে যে ইরানের ইংল্যান্ড আর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরিতা চলছে!

সেই ‘বি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচ আজ। ইরান মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ডের। সেই ম্যাচ অবশ্য অন্য কারণে চলে এসেছে আলোচনায়। সমকামিতা সমর্থনের বাহুবন্ধনি পরে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন, সেটাও আবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের মাটিতে, যারা আবার ধর্মীয় কারণে একটু বেশি রক্ষণশীল!

বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ড, ওয়েলসসহ আরও পাঁচ দেশ ‘ওয়ান লাভ’ নামের আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছিল। তবে ঝামেলা এড়াতে ফিফা তাতে বাঁধ সাধে। জানানো হয়, ফিফার বেঁধে দেওয়া আর্মব্যান্ড পরেই নামতে হবে মাঠে।

এমনিতে ফিফার আর্মব্যান্ডেও ঐক্য আর সমতার কথা বলা হয়েছে। প্রতি রাউন্ডে বদলে যাবে এই ব্যান্ডের স্লোগান। সঙ্গে একটা নিয়মও বেঁধে দিয়েছে। এই বাহুবন্ধনীর বাইরে কিছু পরলে তাকে দেখানো হবে হলুদ কার্ড, মাঠে নামার আগেই!

এখন বিশ্বকাপে দুই ম্যাচে যদি হলুদ কার্ড দেখেন কেউ, পরের ম্যাচে তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিষিদ্ধ হয়ে যাবেন তিনি। ওয়ান লাভ ব্যান্ড পরে মাঠে নেমে হলুদ কার্ড দেখলে অধিনায়ককে ছাড়াই শেষ গ্রুপ ম্যাচে মাঠে নামতে হতে পারে দলগুলোকে। 

সেই ভয় থেকেই মূলত ওয়ান লাভ ব্যান্ড পরার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে দলগুলো। ইংলিশ ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা এফএ জানিয়েছে এক বিবৃতিতে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘আমাদের অধিনায়কেরা যদি এই ব্যান্ড পরে খেলেন, তাহলে নিষেধাজ্ঞা চলে আসবে, পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে ফিফা। জাতীয় ফেডারেশন হওয়ার কারণে আমরা খেলোয়াড়দের এমন জায়গায় ঠেলে দিতে পারি না, যেখানে তারা নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে যাবেন। সে কারণেই আমরা অধিনায়কদের বলেছি, যেন ফিফা বিশ্বকাপে অধিনায়কের সেই আর্মব্যান্ড না পরার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।’

তবে ফিফার এই সিদ্ধান্তে যে এফএ হতাশ, সেটা কোনো রাখঢাক ছাড়াই জানিয়েছে সংস্থাটি। বলেছে, ‘ফিফার এই সিদ্ধান্তে আমরা হতাশ। আমাদের বিশ্বাস এমন কিছু আগে কখনোই ঘটেনি। আমরা সেপ্টেম্বরে ফিফাকে লিখিত আকারে জানিয়েছিলাম যে আমরা ওয়ান লাভের আর্মব্যান্ড পরার ইচ্ছা পোষণ করছি, যেন ফুটবলেও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন করা যায়। সেখানে আমরা কোনো উত্তর পাইনি।’