দোলাচলের বিশ্বকাপ
ম্যাচ শুরুর আর ঘন্টা দুই বাকি। অপেক্ষামান সাংবাদিকরা অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড স্ক্যান করেই যাচ্ছেন। ম্যাচের মিডিয়া টিকিট পেয়ে কারো মুখে হাসি। বিশ্বকাপ ফুটবল কাভার করতে আসা নন প্লেয়িং দেশগুলোর সাংবাদিকদের কম-বেশি একই অবস্থা।
ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ব্যাপক সমর্থক। বাংলাদেশ, ভারত থেকে আসা সাংবাদিকদের চোখও এই দুই দলের দিকেই বেশি। এখন পর্যন্ত আর্জেন্টিনা দু’টি ও ব্রাজিল একটি ম্যাচ খেলেছে। এই তিন ম্যাচে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, থাইল্যান্ড সহ আরও অনেক দেশের সাংবাদিকরা সরাসরি মিডিয়া টিকিট পেয়েছেন খুবই কদাচিৎ।
বিজ্ঞাপন
ম্যাচের ২৪ ঘন্টা আগেই ফিফা মিডিয়া হাবে টিকিট অ্যাপ্রুভ অথবা রিজেক্ট প্রকাশ করে। অন্য ম্যাচগুলোর অ্যাপ্রুভাল নির্দিষ্ট সময়ের আগে আসলেও ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার ম্যাচগুলো রিকোয়েস্টেড অবস্থায় থাকে দীর্ঘক্ষণ। আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ম্যাচের আগের দিন রাতে রিজেকশনই আসছে বেশি। ফলে ম্যাচে দিন সকাল সকাল স্ট্যান্ডবাইয়ের খাতায় নাম লেখাতে হয়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে মিলে ম্যাচের টিকিট। আর না হলে তো...!
এবারের বিশ্বকাপে এক দিনে দুই ম্যাচও কাভার করা যায়। এই বিশ্বকাপে যেমন সর্বাধিক ম্যাচ কাভারের সুযোগ তেমনি বড় ম্যাচ কাভারের সুযোগ ততটাই কম। বিশেষ করে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ না করা দেশগুলোর সাংবাদিকদের জন্য। কাতার বিশ্বকাপে সব সাংবাদিকই দোহাতে অবস্থান করছে। বিগত বিশ্বকাপগুলোতে বিভিন্ন শহর ও ভেন্যুতে বিভক্ত ছিল। একই স্থানে থাকায় সবার আগ্রহ বড় ম্যাচগুলোর দিকে। ফলে কেউ টিকিট পাচ্ছেন আবার কেউ মনোকষ্টে মিডিয়া সেন্টারে টিভির পর্দায় অথবা ভার্চুয়াল স্টেডিয়ামে চোখ রাখছেন।
বিজ্ঞাপন
যারা একেবারে অন্তিম মুহূর্তে টিকিট পান তাদের সামনে থাকে সুনির্দিষ্ট সময়ে ম্যাচে উপস্থিত হওয়ার চ্যালেঞ্জ। মিডিয়া সেন্টার থেকে দেড় ঘন্টা আগেই স্টেডিয়ামের উদ্দেশ্যে সর্বশেষ শাটল বাস ছেড়ে যায়। অপেক্ষামান তালিকা থেকে অ্যাপ্রুভ টিকিট প্রিন্ট হওয়া মাত্রই তাই মিডিয়া শাটলের উদ্দেশ্যে ভোদৌড়াতে হয়। শেষ মিডিয়া বাস মিস করলে টিকিট পেয়েও খেলা কাভার করা বড় দূরহ বিষয় হয়ে উঠে।
মিডিয়া অ্যাক্রিডিটেশনধারীদের সকল ভেন্যু ও সকল ম্যাচেই প্রবেশাধিকার রয়েছে। ম্যাচের ৪৮ ঘন্টা আগে অ্যাক্রিডিটেশনধারীদের মিডিয়া ট্রিবিউনের পাশাপাশি প্রেস কনফারেন্স অথবা মিক্সড জোনের একটি বাছাই করতে হয়। অনেক সময় মিডিয়া ট্রিবিউনের পাশাপাশি প্রেস কনফারেন্স অথবা মিক্সড জোনও অ্যাপ্রুভ হয়। আবার কখনো শুধু মিডিয়া ট্রিবিউন। মিডিয়া ট্রিবিউন অ্যাপ্রুভ না হলে প্রেস কনফারেন্স অথবা মিক্সড জোনে প্রবেশাধিকার থাকে না। আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলের ম্যাচগুলোতে প্রেস কনফারেন্স মিক্সড জোন তো দূরের কথা, মিডিয়া ট্রিবিউন পাওয়াই বড় দায় নন প্লেয়িং দেশের সাংবাদিকদের জন্য!
এজেড/এটি/এনইআর