পোল্যান্ডের গোলরক্ষকই এখন পর্যন্ত সেরা
৬৪ ম্যাচের বিশ্বকাপ। ইতোমধ্যে ৩২ ম্যাচের বেশি শেষ। গ্রপপর্বে ৩২ দলই দু’টি করে ম্যাচ খেলেছে। এখন চলছে শেষ রাউন্ডের খেলা। বিগত দুই রাউন্ডে খেলার বিভিন্ন টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে মিডিয়ার সামনে হাজির হয়েছিল ফিফার টেকনিক্যাল স্টাডি গ্রপ।
সুইজারল্যান্ডের সাবেক গোলরক্ষক প্যাসক্যাল জুবেলহার ফিফার টেকনিক্যাল স্টাডি গ্রপের সদস্য। এই বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে তার পর্যবেক্ষণ, ‘গোলরক্ষকদের প্রতি নির্ভরতা আগের বিশ্বকাপের চেয়ে এই বিশ্বকাপে বেড়েছে অনেক। এই বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত গোলরক্ষকদের কাছে ৭০০’র বেশি পাস দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ব্যাক পাসই ৩০০’র বেশি। যার মানে দাড়ায় ডিফেন্ডারদের সঙ্গে গোলরক্ষকের বোঝাপড়া দারুণ এবং গোলরক্ষকরা সেই দৃঢ়তার জায়গায় রয়েছেন।’
বিজ্ঞাপন
গোলরক্ষকরা যেমন বেশি পাস পাচ্ছেন আবার অনেক আক্রমণের রচনার ভিতও গড়ে দিচ্ছেন, ‘বিশ্বকাপে অনেক গোলই হচ্ছে যেটার সূত্র গোলরক্ষকের পাস অথবা তার নেয়া শট’, বলেন প্যাসক্যাল। গোলরক্ষকদের সেভ, গোলের উৎস সহ সব কিছু বিশ্বকাপ শেষে প্রকাশ করবেন তিনি, ‘প্রতি ম্যাচের পর আমার কাছে সহস্রাধিক ডাটা আসে গোলকিপিং নিয়ে। মুভমেন্ট, গ্রিপিং সহ সকল বিষয় এর মধ্যে অর্ন্তভূক্ত। গোলরক্ষকের সকল ডাটা বিশ্বকাপ শেষে প্রকাশ করা হবে’ বলেন ট্যাকনিক্যাল স্টাডি গ্রপের সদস্য।
এবারের বিশ্বকাপে সরাসরি ফ্রি কিক থেকে গোলের সংখ্যা কম। এর কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বলের জন্য এটা হতে পারে। তাই বলে কোনো সমস্যা নেই। বল ঠিকই রয়েছে।’ এখন পর্যন্ত তার দৃষ্টিতে সেরা সেভ পোল্যান্ড গোলরক্ষকের, ‘একজন সাবেক গোলরক্ষক হিসেবে ফিরতি বল ঠেকানো কতটা কঠিন সেটা আমি জানি। পোল্যান্ডের সিজনি পেনাল্টি প্রতিহত করেছে আবার ফিরতি শটও গ্রিপিং করেছে। এটা অসাধারণ মুহূর্ত।’
পোল্যান্ডের গোলরক্ষকের প্রশংসা করলেও গোল্ডেন গ্লাভস কার হাতে উঠতে পারে এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি, ‘অনেকেই দারুণ গোলকিপিং করছে। বেশ কয়েকজনই রয়েছে। কারো নাম বলা যাচ্ছে না।’ গোল্ডেন গ্লাভসের ক্ষেত্রে কারো নাম না বললেও ফাইনালে উঠার পেছনে গোলরক্ষক বড় ভূমিকা রাখবে সেটা স্পষ্ট করেই বললেন, ‘এক্সসেপশনাল গোলরক্ষকদের দলই ফাইনালে উঠবে এটা নিশ্চিত।’
বিজ্ঞাপন
এজেড/এনইআর