পোল্যান্ডের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা তখন হন্যে হয়ে ঘুরছে একটা গোলের জন্য। মেসি ইতোমধ্যেই মিস করে বসেছেন একটা পেনাল্টি। ঠিক তখনই অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার এলেন ত্রাতা হয়ে। আকাশি-সাদাদের এনে দিলেন মহাগুরুত্বপূর্ণ এক গোল।

সেই এক গোলই হাঁফ ছেড়ে বাঁচার ফুরসত দেয় আর্জেন্টিনাকে। তাতে ভর করেই লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা পেয়ে যায় ২-০ গোলের দারুণ এক জয়। বিদায়ের শঙ্কা দূরে ঠেলে গ্রুপ সেরা হয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছে যায় লিওনেল স্ক্যালোনির দল।

ম্যাক অ্যালিস্টার শুধু যে গোল করেছেন, বিষয়টা মোটেও এমন নয়। গোলের সুযোগও সৃষ্টি করেছেন অনেক। পুরো ম্যাচে ৬৬ বার বল ছুঁয়েছেন তিনি। পাস খেলেছেন ৫৭টি, যার ৯৬ শতাংশই খেলেছেন নির্ভুল পাস। আর্জেন্টিনা যে পুরো ম্যাচে এমন দাপট দেখিয়ে খেলেছে, তাতে তার অবদানটাও নেহায়েত কম নয়।

দুটো শট করেছেন, একটাতে গোল পেয়েছেন, পেতে পারতেন আর একটাও। তবে ভয়চেখ সজেসনি সেবার তার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ান। 

তবে যা করেছেন, সেটাই যথেষ্ট। আর্জেন্টিনার জার্সিতে তার প্রথম গোলই দলের শেষ ষোলোয় ওঠার সোপান গড়ে দিয়েছে। যার ফলে অবধারিতভাবেই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার।

এনইউ