প্রথমার্ধে গোল করে ম্যানইউকে এগিয়ে দেওয়ার পর উদযাপনে মাতলেন ব্রুনো ফের্নান্দেজ/ছবি: ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড

দল পেয়েছে দুর্দান্ত এক জয়। টানা ২১ ম্যাচ জয়ের পর নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটিকে হারের বিস্বাদ উপহার দিয়েছে ২-০ ব্যবধানে। এরপরেও কোচ ওলে গুনার সোলশায়ারের সরল স্বীকারোক্তি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নেই শিরোপার লড়াইয়ে!

থাকবে কী করে? দলটা যে এখনো পিছিয়ে আছে ১১ পয়েন্টে! ইউনাইটেডকে যদি লিগ জিততেই হয় তাহলে পেপ গার্দিওলার সিটিকে হারতে হবে কমপক্ষে চার ম্যাচে। কোচ সোলশায়ার তাই পরের চিন্তা ছেড়ে নিজের চরকায় তেল দেয়ায় মনোযোগী হতে বললেন দলকে। 

টানা ২১ জয় তুলে এ ম্যাচে আসা ‘ইররেজিস্ট্যাবল ফোর্স’ যদি ম্যানচেস্টার সিটি হয়, তবে টানা ২১ ম্যাচে অপরাজিত থাকা ম্যানইউ ছিল ‘ইমমুভেবল অবজেক্ট’। এই ‘ইররেজিস্ট্যাবল ফোর্স প্যারাডক্সে’ শেষমেশ জয়টা হলো শেষোক্ত শক্তির, ইউনাইটেডের। তাতে তাদের অপরাজেয় যাত্রাটা টিকে রইলো, বেড়ে গেল আরো এক ম্যাচ। 

রক্ষণ সামলে পরে আক্রমণ। বড় ম্যাচে কোচ সোলশায়ারের কৌশল চলতি মৌসুমে কাজে দিচ্ছে বেশ। ব্রুনো ফের্নান্দেজের পেনাল্টি থেকে তুলে নেওয়া গোলটার পরও ছাপ পড়ল সেই কৌশলের।

তবে বিরতির একটু পরে রদ্রি প্রায় সমতা ফিরিয়েই ফেলেছিলেন। বার-পোস্টের কোনায় শটটা প্রতিহত না হলে হয়তো ১-১ সমতায় চলে আসত ম্যাচে। এরপরই ম্যাচের সব অনিশ্চয়তা মুছে দেন লুক শ। মার্কাস র‍্যাশফোর্ডের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে নিচু এক শটে পরাস্ত করেন এডারসনকে। নভেম্বরে টটেনহ্যামের কাছে হারের পর সিটির টানা ২৮ ম্যাচ অপরাজিত থাকার দর্পও চূর্ণ হয় তাতে। 

এ জয়টা ইউনাইটেডের জন্য আরও এক কারণেও গুরুত্বপূর্ণ দলটির। শেষ তিন ম্যাচেই যে গোল পেতে ব্যর্থ হয়েছিল রেড ডেভিলরা! তবে এরপরও অবশ্য ইউনাইটেড সিটির চেয়ে পিছিয়ে আছে ১১ পয়েন্টের ব্যবধানে। তাই শিরোপার চিন্তা আপাতত ভাবনাতেই আনছেন না সোলশায়ার। বললেন, ‘তারা আপনার চেয়ে এত দূরে যে আপনি কিছু ভাবতেই পারবেন না। কিন্তু নিজেদের জয়গুলো তুলে নিয়ে চলতি মৌসুমটাকে গেল বছরের চেয়ে ভালো করার চেষ্টা করা যেতেই পারে। গেল মৌসুমে আমরা মৌসুমে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিলাম। আর আমরা এবার তালিকায় একটু উপরে উঠতে চাই।’

এনইউ