গ্রুপে আগের বারের রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়া ছিল; রাশিয়া বিশ্বকাপে তৃতীয় দল, ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় সেরা দল বেলজিয়ামও ছিল। মরক্কো সেই ‘এফ’ গ্রুপ থেকেই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছে, সেটাও আবার গ্রুপসেরা হয়ে! শেষ দিনে কানাডাকে ২-১ গোলে হারিয়ে এই অবিস্মরণীয় অর্জনটা ঝুলিতে পুরেছে আফ্রিকান দেশটি।

এমন অর্জনের জন্য শেষ দিনে কানাডাকে হারাতে হতো দলটিকে। ম্যাচের শুরুতে একটা উপহারই পেয়ে যায় দলটি। কানাডার গোলরক্ষক বোরজান ভুলে বলের দখল দিয়ে দেন মরক্কোকে। হেকিম জিয়েখ গোলটা করতে ভুল করেননি। তার গোলেই এগিয়ে যায় মরক্কানরা। শেষমেশ ম্যাচটা জেতে ২-১ ব্যবধানে। গড়ে ফেলে ইতিহাসও।

জিয়েখ কেবল শুরুর গোলটাই করেননি। পুরো ম্যাচেই আলো ছড়িয়েছেন। যার ফলেই এই অবিস্মরণীয় জয়টা তুলে নিতে পেরেছে তার উত্তর আফ্রিকান দেশটি। 

আক্রমণভাগে ম্যাচটা শুরু করা জিয়েখ পুরো ম্যাচেই রাইটব্যাক আশরাফ হাকিমি আর স্ট্রাইকার ইউসেফ এন নেসেরির সঙ্গে দেখিয়েছেন দারুণ বোঝাপড়া। দেখিয়েছেন, কেন কোচ ওয়ালিদ রেগরাগি তাকে নির্বাসন থেকে ফিরিয়ে দলে এনেছেন।

তার এমন আলো ছড়ানো পারফর্ম্যান্সে ভর করেই মরক্কো উঠে গেছে শেষ ষোলোতে। ম্যাচসেরা হয়ে তিনিও যোগ্য হিসেবেই পেয়েছেন পুরস্কারটা।

এনইউ