প্রথমার্ধে ব্রাজিল গুণে গুণে ৪ গোল দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়াকে। ম্যাচটা সেখানেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। তবে কোরিয়ানরা হাল ছাড়েনি। ম্যাচের ১৪ মিনিট বাকি থাকতে এক গোল শোধ করেছে দলটি। দিয়েছে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত।

ম্যাচের ৭৬ মিনিটে ফ্রি কিক পায় কোরিয়া। ব্রাজিল রক্ষণ তা ঠেকিয়ে দেয়। তবে বক্সের কোণায় থাকা পাইক সিউং হো বলটা পেয়ে যান। এরপরই দারুণ এক হাফ ভলিতে বলটা নিয়ে আছড়ে ফেলেন ব্রাজিলের জালে, গোলরক্ষক অ্যালিসন নাগালই পাননি বলের। 

এর আগে ব্রাজিলই প্রথমার্ধে ছড়ি ঘুরিয়েছে। ৭ মিনিটে সেলেসাওরা পেয়ে যায় তাদের প্রথম গোলটা। রাফিনিয়া ডান পাশ থেকে আক্রমণে উঠে এসে বক্সে বাড়ান নিচু ক্রস, দূরের পোস্টে ভিনিসিয়াস পান বলটা, আয়ত্বে নিয়ে তিনি শট নেন ফারপোস্টে, বলটা আছড়ে পড়ে দক্ষিণ কোরিয়ার জালে। প্রায় সাত মাস পর আন্তর্জাতিক গোলের দেখা পান রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড।

এরপর দ্বিতীয় গোলের জন্য সেলেসাওদের খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। ১১ মিনিটে নিজেদের বিপদসীমায় রিচার্লিসনকে ফাউল করে কোরিয়ান রক্ষণ। পেনাল্টি যায় ব্রাজিলের পক্ষে। নেইমারের ঠাণ্ডা মাথায় নেওয়া পেনাল্টিটা ঠেকানোর সাধ্যই ছিল না কোরিয়ান গোলরক্ষক কিম সিউং-গিউর। ব্রাজিল এগিয়ে যায় ২-০ গোলে।

দুই গোল পেয়ে ব্রাজিল সন্তুষ্ট হয়নি মোটেও। বরং আরও গোলের জন্য হন্যে হয়ে উঠেছে আক্রমণে। ২৯ মিনিটে পেয়ে যায় আরও এক গোল। থিয়াগো সিলভার বাড়ানো বল থেকে গোলটা করেন প্রথম ম্যাচে জয়ের নায়ক রিচার্লিসন।

পরের গোলের জন্য সেলেসাওদের অপেক্ষাটা ছিল ৬ মিনিটের। এবার গোলের দেখা পান মিডফিল্ডার লুকাস পাকেতা। রিচার্লিসন, নেইমার হয়ে ভিনিসিয়াসের কাছে আসে বলটা। বক্সে উঠে আসতে থাকা পাকেতাকে সুযোগ বাড়িয়ে দেন রিয়াল ফরোয়ার্ড, পাকেতাও সেটা লুফে নিতে ভুল করেননি। দারুণ এক ফিনিশে করেন চলতি আসরে নিজের প্রথম গোলটা। তাতেই ৩৫ মিনিটে চতুর্থ গোলের দেখা পেয়ে যায় তিতের দল।

এনইউ