শেষ আট নিশ্চিত করে লিভারপুলের উদযাপন/গেটিইমেজ

নিজেদের মাঠে প্রিমিয়ার লিগে হেরেই চলেছে লিভারপুল। তবে খেলাটা প্রতিপক্ষের মাঠে হলেই যেন তুলনামূলক স্বচ্ছন্দে থাকেন মোহামেদ সালাহরা। অ্যানফিল্ডের বাইরে নিজেদের শেষ পাঁচ ম্যাচে দলটি জয় তুলে নিয়েছিল টটেনহ্যাম, ওয়েস্ট হ্যাম আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলয় লাইপজিগের বিপক্ষে। প্রথম লেগের পর করোনার কারণে আরবি লাইপজিগের বিপক্ষে ফিরতি লেগটাও অনুষ্ঠিত হয় বুদাপেস্টের ফেরেঙ্ক পুসকাস অ্যারেনায়। সেখানে ২-০ গোলের জয় নিয়ে কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের দল উঠে গেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে।

আগের লেগেই দুই গোলের জয় নিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল লিভারপুল। ‘নিজেদের মাঠের’ ফিরতি লেগে একটা ড্র হলেও বর্তে যেত অল রেডরা। ম্যাচটি লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ডে হওয়ার কথা থাকলেও করোনা-পরিস্থিতির অবনতির কারণে ভ্রমণের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ পথ আগলে দাঁড়ায়। ফলে বুদাপেস্টে সরিয়ে নেওয়া হয় লড়াইটা। এর আগে জার্মানিতে কঠোর লকডাউনের কারণে প্রথম লেগের ম্যাচটাও আয়োজন করতে হয়েছিল একই মাঠে।

বৃহস্পতিবার রাতের এই ম্যাচে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগটা আসে লাইপজিগের কাছে। দানি অলমোর নিচু শট ঠেকিয়ে দলকে পিছিয়ে পড়ার হাত থেকে রক্ষা করেন লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক অ্যালিসন। সুযোগ এসেছিল লিভারপুলের কাছেও। ২০ মিনিটে ডিয়োগো জোটার হেডারটা রুখে দেন লাইপজিগ গোলরক্ষক। এরপর বিরতির আগ পর্যন্ত লিভারপুল সুযোগ পেয়েছিল কমপক্ষে তিনটি। মোহামেদ সালাহ, সাদিও মানে আর জোটা একটি করে সুযোগ নষ্ট করলে বিরতির আগে আর এগিয়ে যাওয়া হয়নি দলটির।

তবে দলটির গোলের অপেক্ষা শেষ হয়েছে ৭০ মিনিটে। জোটার পাস থেকে দারুণ এক শটে গোলের দেখা পান সালাহ। এর মিনিট চারেক পর আরো এক গোল লিভারপুলের। দিভোক অরিগির পাস থেকে প্রথম ছোঁয়াতেই বল লাইপজিগের জালে জড়ান সাদিও মানে। ফলে লড়াইয়ের সব অনিশ্চয়তা দূর হয়ে যায়। ক্লপের শিষ্যরা ২-০ আর দুই লেগ মিলিয়ে ৪-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে উঠে যায় শেষ আটে। 

এনইউ