এবারের ঘরোয়া ফুটবল একটু ভিন্ন আঙ্গিকে চলছে। প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার-শনিবার প্রিমিয়ার লিগ এবং মঙ্গলবার ফেডারেশন কাপ চলছে। প্রিমিয়ার লিগে ৫ রাউন্ড খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে। ষষ্ঠ রাউন্ডের আগে বাফুফের লিগ ম্যানেজমেন্ট কমিটি সভায় বসেছে। সেই সভায় রেফারিং নিয়েই বেশি আলোচনা হয়েছে। 

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সাবেক রেফারিরা। ঘরোয়া লিগে রেফারি এসেসর (তত্ত্ববধায়ক) থাকে না। এই দু’টি বিষয় নিয়ে আবাহনী ক্লাবের ম্যানেজার সত্যজিত দাশ রুপু সভায় বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তার বক্তব্যের যৌক্তিকতা সভায় গৃহীত হয়।
 
সভা শেষে লিগ ম্যানেজম্যান্ট কমিটির আহবায়ক ও বাফুফে সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূইয়া মানিক বলেন, ‘আমরা রেফারি এসেসর আলাদাভাবে রাখার এবং ম্যাচ কমিশনার সাবেক রেফারিদের বাইরে কাউকে দেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক আলোচনা করেছি। এখানে ফান্ডিংয়ের খুব বেশি বিষয় নেই। এটা শুরু করা যেতে পারে।’

ক্লাবগুলো রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন করে আবার রেফারিদের ম্যাচ বরাদ্দ নিয়েও প্রশ্ন উঠে অনেক। এই সব বিষয়ে সামনে আরো স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণের চেষ্টা থাকবে বাফুফের, ‘বিশ্বকাপের ম্যাচেও রেফারির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়েছে। রেফারিদের ভুল হতেই পারে। তবে এটা ইচ্ছেকৃত নয়।'

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আর্জেন্টিনার ম্যাচের জন্য শত কোটি টাকা সংস্থানের চেষ্টা করছে। সেখানে স্বচ্ছ রেফারিংয়ের জন্য ভিএআর কেন আনা হচ্ছে না এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বাফুফের অন্যতম সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহী, ‘আর্জেন্টিনার ম্যাচের জন্য স্পন্সর থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হবে। লিগের জন্য কয়েকটি ভেন্যুতে ভিএআর করা ব্যয় সাপেক্ষ। সেক্ষেত্রে স্পন্সর পাওয়া সম্ভব হবে না’।

গত মৌসুমে যারা ভালো রেফারিং করেছেন। তাদের মধ্যে অনেকে এই মৌসুমে রেফারিং করতে দেখা যাচ্ছে না। গত মৌসুমে রেফারিদের পারিশ্রমিক বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করেছেন যারা তাদের অনেককে শাস্তির মধ্যে রাখা হয়েছে।

এজেড