কাতার বিশ্বকাপে রীতিমতো রূপকথার গল্প লিখেছে মরক্কো। পুরো বিশ্ব ফুটবলকে চমকে দিয়ে প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে সেমিফাইনালে খেলেছে আফ্রিকান দলটি।  ফাইনালে ওঠার মঞ্চেও লড়াইটা ছেড়ে দেয়নি হাকিমি-জিয়েশরা।ফ্রান্সের সঙ্গে লড়েছে সমানে সমান।   

বিশ্বকাপে ফাইনাল খেলার সুযোগ না হলেও মরক্কো যে বিশ্ব ফুটবলেউঠতি পরাশক্তি হতে পারে সেটার জানান ভালোভাবেই দিয়েছে তারা। আর এই রূপকথার বড় নায়ক ছিলেন মরক্কান  ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমি। 

বিশ্বকাপে বড়সড় অবদান রেখে এবার সুখবর পেয়েছেন হাকিমি।  আরবের বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের পুরষ্কার গেছে তার ঝুলিতে। গত বছর পারফরম্যান্সে আরব দেশগুলোর অন্যান্য ক্রীড়াবিদদের ছাপিয়ে গেছেন তিনি।

গতকাল সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত হয় ‘জয় অ্যাওয়ার্ড সেরেমনি’। মায়ের সঙ্গে সেখানে হাজির হয়েছিলেন হাকিমি। তিনি বলেন, ‘আসসালাম আলাইকুমু, এখানে এসে সত্যিই খুশি আমি। সৌদি আরব একটি বিশেষ দেশ। মায়ের সঙ্গে এখানে থাকতে পেরে আমি সত্যিই খুশ্যি। তিনি আমার পাশে আছেন। পিএসজি এবং আমার দেশ মরক্কোকেও পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এখানে এসে নিজেকে খুব গর্বিত মনে হচ্ছে। ’

ইউরোপিয়ান ফুটবলে হাকিমি বেশ পরিচিত মুখ। খেলছেন লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজির হয়ে। 
 এর আগেও নজর কেড়েছেন ইউরোপীয় বেশকিছু ক্লাবের।  পিএসজির জার্সিতে গত বছর ৩৮ ম্যাচ খেলে ৪টি গোল ও ৬ টি অ্যাসিস্ট করেছেন এই ডিফেন্ডার। অন্যদিকে জাতীয় দলে ২০ ম্যাচে ৩ গোল করেন তিনি। কাতার বিশ্বকাপ থেকে দেশে ফেরার পর তাকে ও তার সতীর্থদের বীরোচিত সংবর্ধনা দেওয়া হয়।