টিকা নেওয়ার পরই মিলছে গ্যাজপ্রম অ্যারেনায় প্রবেশাধিকার/ছবি: জেনিথ সেইন্ট পিটার্সবুর্গ

জেনিথ সেইন্ট পিটার্সবুর্গ কর্তৃপক্ষ সুবর্ণ সুযোগই দিয়ে বসেছে সমর্থকদের। ক্লাবের সমর্থক-দর্শকদেরকে ‘হোম’ ম্যাচের টিকিট কিনলেই দিচ্ছে করোনার প্রতিষেধক নেওয়ার সুযোগ। তার আগে অবশ্য পূরণ করতে হবে কিছু শর্ত।

আখমাটের বিপক্ষে দলকে সমর্থন দিতে মাঠে দুই জেনিথ সমর্থক/ছবি: জেনিথ সেইন্ট পিটার্সবুর্গ

রাশান চ্যাম্পিয়নদের ঘরের মাঠের ম্যাচে আসা দর্শক যদি ১৮ বছরের বেশি বয়স্ক হন, আর স্বাস্থ্যকর্মীরা যদি কোনো শারীরিক সমস্যা খুঁজে না পান, তাহলেই মিলবে করোনাভাইরাসের টিকা। গ্যাজপ্রম অ্যারেনায় আসা দর্শকদের ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য ক্লাবটি স্থানীয় স্পুটনিক ফাইভ টিকা যোগাড় করেছে।

দুই ডোজের এই টিকা এখন পর্যন্ত ৯১.৬ শতাংশ কার্যকরিতা অর্জন করেছে করোনাভাইরাসের বিপক্ষে। এ সুযোগ নেওয়ার জন্য দর্শকদেরকে পাসপোর্ট ও জাতীয় স্বাস্থ্য কার্ড নিয়ে মাঠে আসার অনুরোধ করেছে ক্লাবটি।

শনিবার বাহারি সাজ নিয়ে দলকে সমর্থন দিতে হাজির হন এক জেনিথ সমর্থক/ছবি: জেনিথ সেইন্ট পিটার্সবুর্গ

শনিবার থেকেই শুরু হয়ে গেছে এ কার্যক্রম। নিজেদের মাঠে আখমাট গ্রজনির বিপক্ষে ম্যাচের দুই ঘণ্টা আগে ভ্রাম্যমান ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্র স্টেডিয়ামের গেটে বসিয়েছে ক্লাবটি। এ সুযোগও অবশ্য সীমিত সময়ের জন্যই থাকছে সমর্থকদের। এই প্রকল্পটা চলবে আগামী ২ মে পর্যন্ত। সেদিন চলতি মৌসুমে নিজেদের শেষ ‘হোম ম্যাচে’ লোকোমোটিভ মস্কোর বিপক্ষে খেলবে জেনিথ।

এখন পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় এক লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। তা সত্বেও দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন মাঠে দর্শকদের আসার অনুমতি দিয়েছে, যদিও তা সীমিত পরিসরে। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত গড়ে ১৭,০৯৪ জন দর্শক জেনিথের খেলা দেখেছেন মাঠে বসে। তবে রাশানদের মতো উদারনীতির পথে হাঁটছে না উয়েফা। ইউরোপীয় ফুটবলের নীতিনির্ধারক প্রতিষ্ঠানটি এখনো আসন্ন ইউরোয় দর্শকদের অনুমতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি।

এনইউ/এটি