বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন লিগ কমিটি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেয়ার দিনই সুপার কাপ ফেরানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। স্পন্সরের জন্য বাফুফে সুপার কাপটি চূড়ান্ত করেনি এতদিন। সেই স্পন্সর অনেকটা চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ায় সুপার কাপের রুপরেখা তৈরি করছে বাফুফে।

সোমবার বাফুফে ভবনে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ সুপার কাপ সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা দুই একদিনের মধ্যে স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের নামটি চূড়ান্ত করতে পারবো। ইতোমধ্যে আমরা আলোচনার মাধ্যমে টুর্নামেন্টের কার্যক্রম শুরু করেছি’।

২-১৩ এপ্রিল সুপার কাপের জন্য সময়সূচি ঠিক করেছে বাফুফে। সময় ঠিক করলেও ভেন্যু এখনো ঠিক হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন,‘লিগ কমিটির পরিকল্পনা ছিল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আয়োজন করার। বাস্তবিক অর্থে সেটা সম্ভব নয়। তাই কোন ভেন্যুতে হবে সেটি লিগ কমিটি ঠিক করবে’।

২৪ মার্চ থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে। ফুটবলের ব্যস্ত সূচির জন্য সুপার কাপ এপ্রিলেই রেখেছে বাফুফে,‘২৮ ফেব্রুয়ারি সুপার কাপের বাছাই শেষ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হবে। মার্চ উইন্ডোতে আমাদের ম্যাচ কাদের সঙ্গে সেটি আগামী সপ্তাহে নিশ্চিত হওয়া যাবে। মার্চ উইন্ডোর ম্যাচ খেলেই সুপার কাপ শুরু হবে’-বলেন সাধারণ সম্পাদক।

সুপার কাপের চূড়ান্ত পর্বে ছয়টি দল খেলবে। গত মৌসুমের শীর্ষ চারটি দল সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে। গত মৌসুমে তৃতীয় স্থান অধিকার করা সাইফ স্পোর্টিং ফুটবল থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। তাই পঞ্চম স্থানে শেখ রাসেল শীর্ষ চার হিসেবে গণ্য হবে বলে জানা গেছে। টুর্নামেন্টে বাকি দুই দল আসবে বাছাই খেলে। সেই বাছাইপর্ব ১৪ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। 
 
২০০৮ সালে কাজী সালাউদ্দিন বাফুফে সভাপতি হয়েই কোটি টাকার টুর্নামেন্টের ঘোষণা দিয়ে চমক দিয়েছিলেন। ২০০৯ সালে প্রথম এই টুর্নামেন্টটি মাঠে গড়ায়। পরের দুই আসর হয় ২০১১ ও ১৩ সালে। ২০১৩ সালের আসরটি হয়েছিল দেশীয় ফুটবলার দিয়ে এবং সেটার প্রাইজমানিও ছিল কম। এক যুগ আগে যে টুর্নামেন্টের প্রাইজমানি ছিল কোটি টাকা। বর্তমান বাজারমূল্যে সেটি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বাফুফের,‘স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমরা আলোচনা করব। তারাও চায় টুর্নামেন্টকে আকর্ষণীয় করতে। আমাদেরও সেই চেষ্টা রয়েছে’। 

এজেড/এফআই