খারাপ সময় যেন পিছু ছাড়ছে না ইংলিশ ক্লাব চেলসির। মাত্র এক মৌসুম আগেও ফুটবলবিশ্বে দাপট দেখানো ক্লাবটি যেন নিজেকেই হারিয়ে খুঁজছে। সবশেষ ম্যাচে তারা হেরে গেছে প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা সাউদাম্পটনের কাছে।

দিনকে দিন খারাপ সময় যেন আরও দীর্ঘ হচ্ছে চেলসির। দুঃসময়ের বৃত্ত ভাঙতে গিয়ে আরো বেশি অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। হারতে হারতে হয় এমন নাজুক পরিস্থিতি হয়েছে যে, এখন জিতলেই বরং অবাক হতে হবে।

শনিবার রাতে পয়েন্ট টেবিলের তলানির ক্লাব সাউদাম্পটনের কাছে ১-০ গোলের ব্যবধানে হেরে গেছে চেলসি। এমন পরাজয়ের পর ক্লাবটির অসহায়ত্ব যেন আরও একবার ফুটে উঠেছে।

ক্লাবটির সদ্য সাবেক চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী কোচ থমাস টুখেলকে সরিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব দেওয়া হয় গ্রাহাম পটারকে। এরপর সুদিন ফেরাতে দলবদলের বাজারে তারা খরচ করেছে কোটি কোটি ডলার। শুধু চলতি জানুয়ারির দলবদলে তারা খরচ করেছে ৩৬ কোটি ডলারেরও বেশি। কদিন আগে আর্জেন্টিনার উদীয়মান তারকা এনজো ফার্নান্দেজকেও উড়িয়ে আনা হয় রেকর্ড পারিশ্রমিকে। কিন্তু কার্যত কোনো ফলই আসছে না। সবশেষ ১৪ ম্যাচে জয় মোটে দুই ম্যাচে।

এদিকে, সাউদাম্পটনের বিপক্ষে পরাজয়ের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন চেলসি কোচ। সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘরের মাঠে পরাজয়ের পর আপনি যে কোনো ধরনের সমালোচনা শুনতে পাবেন। তবে আমার মনে হয় আমরা কঠিন সময় পার করছি এবং অনেক তরুণ খেলোয়াড়কে প্রিমিয়ার লিগে মানিয়ে নিতে অনেক চ্যালেঞ্জ সামলাতে হচ্ছে।’

কোচ বলেন, গত ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে দল হারলেও সেখানে কিছুটা উন্নতি দৃশ্যমান ছিল। তারপরও সাউদাম্পটনের বিপক্ষে তিনি সেই ম্যাচের একাদশ থেকে ৬ পরিবর্তন আনেন। পটার বলেন, ‘সত্যি বলতে প্রথমার্ধে আমাদের পারফরম্যান্স খুবই খারাপ ছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের পারফরম্যান্স ভালো ছিল, কিন্তু সেটা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।’ 

শনিবারের এই পরাজয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলের ১০ নাম্বারে চলে গেছে সাবেক চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপাধারীরা। পরবর্তী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে হলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চারে থাকতে হবে। যা থেকে চেলসি এখনো অনেক দূরে। 

এফআই