চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ হওয়ার পর ইউরোপা লিগেও শেষ ষোল থেকে বিদায় নিল বার্সেলোনা। অর্থাৎ মার্চ মাস শুরুর আগেই ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় নেই বার্সা। ২০০৮ সালের পর প্রথমবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হেরে ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্ট থেকে বাদ জাভির দল। খারাপ দিন হয়তো এভাবেই আসে। এরপরেও যেন কথার ফুলঝুড়ি থামছে না বার্সা কোচ জাভি হার্নান্দেজের। 

সময়টা একদমও খারাপ যাচ্ছিল না বার্সার। লিগে সেরা হওয়ার দৌড়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদকে বড় ব্যবধানে পেছনে ফেলেছে জাভির দল। কিন্তু মাঝে মাঝেই হোঁচট খাওয়ার স্বভাবটাই যেন দেখা গেল আরও একবার। ঘরের মাঠে দুইবার লিড নিয়েও জয় পেলেন না লেভান্ডোভস্কি-বুস্কেটসরা। প্রতিপক্ষের মাঠেও প্রথমার্ধে ১-০ তে এগিয়ে বার্সা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে যেন খেলাই ভুলে গেল উড়তে থাকা দলটি।  

গত মৌসুমে ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে আইনট্রাখট ফ্র্যাঙ্কফুর্টের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল বার্সেলোনা। এবার তারা থমকে গেল আগেই। কিন্তু এমন হারের পরেও যে মুখ বন্ধ নেই বার্সা কোচের। হতাশা অবশ্য প্রকাশ করেছেন বাকি সবার মতোই। তবে তার সঙ্গে এটাও জানিয়ে দিয়েছেন, দলের উন্নতি হচ্ছে। সাবেক তারকার দাবি, গত মৌসুমের চেয়ে এবার আরও ভালো করেছে তার দল। 

ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এই হার বড় হতাশার। তবে আমার বিশ্বাস, আগের মৌসুমের চেয়ে এবার আমরা ভালো খেলেছি। অন্তত এবার তো লড়াই করেছি! এই মৌসুমে আমাদের বায়ার্ন মিউনিখ, ইন্টার মিলান (চ্যাম্পিয়ন্স লিগে) এবং এখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, এমন বড় ও শক্তিশালী ক্লাবের বিপক্ষে খেলতে হয়েছে। যদিও আমরা যথেষ্ট ভালো ছিলাম না, তাদের পর্যায়ে খেলতে পারিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অবশ্যই উন্নতি করেছি এবার। তবে তা যথেষ্ট ছিল না। এখন বাকিটা আমাদের হাতেই। আমরা আবার চেষ্টা করব (পরের মৌসুমে)। আত্ম-সমালোচনা করব, নিজেদের নিয়ে পর্যালোচনা করব, আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চেষ্টা করব ও পরের মৌসুমে ইউরোপে আরও ভালো করার চেষ্টা করব।’

এনইআর