দীর্ঘ একটা সময় দুজনেই খেলেছেন স্প্যানিশ লিগের দলে। লিগ ও লিগের বাইরে তাদের লড়াইও ছিল সেয়ানে সেয়ানে। দলীয় লড়াই তো ছিলই, ব্যক্তিগতভাবেও তারা ছিলেন রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলায় অনন্য দুই প্রতিদ্বন্দ্বী। হাল আমলে তাদের লড়াইয়ে তেমন কারও উপস্থিতি ছিল না। কিন্তু সেই উত্তাপ কমেছে। দুজনই ছেড়েছেন স্প্যানিশ ডেরা। একজন ফ্রান্স ও আরেকজন গেছেন সৌদি ক্লাবে। কিন্তু দুজনের প্রসঙ্গ টেনে এনেছে বায়ার্ন মিউনিখ। মেসির দলকে হারিয়েই তারা উঠে গেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টারে।

পিএসজিকে হারানোর পর মেসিকে নিয়ে বায়ার্ন মিউনিখ ফরোয়ার্ড টমাস মুলারের মন্তব্য ছিল তাচ্ছিল্যমাখা। তিনি বলছিলেন, ‘মেসির বিপক্ষে সবকিছুই আমাদের পক্ষে থাকে। এমনকি ম্যাচের ফলও।’ তার এই তাচ্ছিল্যের পেছনটা তলিয়ে দেখলেই সেটি আর অমূলক মনে হবে না। আসলেই যে বায়ার্নের বিপক্ষে মেসির ফলটাও নেতিবাচকই।

জার্মান ক্লাবটির সঙ্গে ৯ ম্যাচ খেলে মেসির দল মাত্র ২টিতে জয় পেয়েছে। বিপরীতে ৬টিতে হার ও এক ম্যাচ ড্র। ২০২০ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্নের কাছে বার্সেলোনার সেই ৮ গোলের হারের দুঃসহ স্মৃতি তো জ্বলজ্বলে মেসির। এর আগে ২০১২-১৩ মৌসুমেও মেসির বার্সা সেমিফাইনালের দুই লেগেই হেরেছিল। ২০১৪-১৫ মৌসুমে আবারও সেমিফাইনালের মঞ্চেই দেখা হয় দু’দলের। সেবার দ্বিতীয় লেগে হারলেও দুই লেগ মিলিয়ে জয় পায় বার্সা। প্রথম লেগে মেসি দুই গোলের সঙ্গে সতীর্থদের দিয়ে একটি করিয়েছিলেন। তবে সবমিলিয়ে এগিয়ে আছে মুলাররা।

সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই মেসিকে খোঁচা দিয়েছেন মুলার। ম্যাচের শেষদিকের দৃশ্য- মেসি মাটিতে বসে আছেন, তার হাত ধরে মুলার টেনে তুলছেন। সেই ছবি পোস্ট করে যেন মেসির কাটা গায়ে নুনের ছিটা দেন এই জার্মান ফরোয়ার্ড। তবে সেখানেই থামলেন না মুলার। এরপর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে মেসির তুলনাটাও টেনে এনেছেন এই জার্মান তারকা। 

মুলার বলেন, ‘মেসির তুলনায় বরং রোনালদো আমাদের (বায়ার্নের) সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছিল। সে যখন রিয়াল মাদ্রিদে খেলত, তখন তাকে নিয়ে আমরা বেশি চিন্তিত থাকতাম।’

আরও পড়ুন : ‘মেসির চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আক্ষেপ থামবে কবে?’

পিএসজিকে হারানোর ম্যাচে সেরার পুরস্কারের জিতেছেন এই জার্মান তারকা। মেসিকে খোঁচা মারার পরক্ষণেই তিনি মেসির প্রতি জানিয়েছেন অগাধ শ্রদ্ধাও, ‘বিশ্বকাপে মেসি যে খেলা খেলেছে, সেটির প্রতি আমার সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাই আছে।’

অন্যদিকে, রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদে থাকাকালে ৮টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে বায়ার্নকে ৫টিতেই হারিয়েছিল। বিপরীতে দুটিতে হার ও একটি ম্যাচ ড্র হয়। সেসব ম্যাচে সিআরসেভেন ব্যক্তিগতভাবে কোনো গোল না করলেও ফল বেশিরভাগ সময় তার পক্ষেই কথা বলেছে।

এএইচএস