লিগ কাপ ও এফএ কাপ থেকে আগেই বিদায় হয়েছে ইংলিশ ক্লাব টটেনহামের। প্রিমিয়ার লিগেও তাদের সময়টা খারাপ কাটছে। এবার বিদায়ঘণ্টা বেজে গেল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকেও। ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানের কাছে হেরে ছাটাইয়ের শঙ্কায় আছেন টটেনহাম কোচ অ্যান্তোনিও কন্তে। সে পরিস্থিতিতেই তার ওপর তোপ দাগলেন দলটির ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রিচার্লিসন। কাতার বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করা এই তারকার অভিযোগ- কন্তে তার পুরো মৌসুমই শেষ করে দিয়েছে।

বুধবার (৮ মার্চ) রাতে নিজেদের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফিরতি লেগ খেলতে নেমেছিল টটেনহাম। এর আগে প্রথম লেগে ১-০ গোলে হেরে তারা বেশ ব্যাকফুটে ছিল। কিন্তু ব্যবধান কম থাকা ও নিজেদের মাটিতে খেলা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই কন্তের শিষ্যরা আত্মবিশ্বাসী ছিল। কিন্তু গোলশূন্য ড্র তাদের সেই আশা গুড়েবালিতে পরিণত করে।

এরপরই টটেনহামের ব্রাজিলিয়ান তারকা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। কেননা ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই তাকে মাঠ থেকে তুলে নেন কন্তে। তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগে মৌসুমজুড়ে ধুঁকতে থাকা টটেনহামের আগের কয়েকটি ম্যাচ তাকে পুরো সময় খেলানো হয়নি। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনেই রিচার্লিসন জানান, ‘আমি একজন পেশাদার ফুটবলার। আমি প্রতিদিনই আলাদা করে প্রস্তুতি নিই এবং আমি পুরো ম্যাচ খেলতে চাই। কিন্তু আমার মিনিট নষ্ট হয়, সময় পেরিয়ে যায়। যা পুরো মৌসুমই শিটে পরিণত করেছে।’

কন্তেকে উদ্দেশ্য করে এই ফরোয়ার্ড আরও বলেন, ‘আমি ভালো খেলছিলাম, অথচ তখনই হঠাৎ তিনি (কন্তে) আমাকে বেঞ্চে বসিয়ে দেন। আমি ওর মানসিকতা বুঝতে পারছি না। আমি ইতিবাচকভাবে শুরু করলেও কন্তে আমাকে বারবারই বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। গতকালও তিনি আমাকে প্রথম একাদশে রেখে পরীক্ষা চালালেন..এবং এরপরই আমার ঠিকানা সেই বেঞ্চ।’

এদিকে বরখাস্ত হওয়ার শঙ্কায় থাকা কন্তে বলছেন, ‘আমি চুক্তিকে সম্মান করি এবং মৌসুম শেষে ক্লাবের কর্তাদের সঙ্গে বসে দলের পারফরম্যান্সে সঠিক মূল্যায়ন করব। দেখা যাক কী হয়, হয়তো তারা আমাকে আরও আগে বিদায় করে দিতে পারে। একজন কোচের ক্ষেত্রে, সে (দলের) মান কতটা বাড়াতে পারে সেটা গুরুত্বপূর্ণ আর আমরা এই বছর ভালো করতে লড়াই করেছি।’

সর্বশেষ কাতার বিশ্বকাপে দুর্দান্ত বাইসাইকেল কিক দিয়ে গোল করেছিলেন রিসার্লিসন। এরপর তিনি টুর্নামেন্টসেরা গোলের লড়াইয়ে ছিলেন। যদিও এক পায়ে খেলা ফুটবলারের কাছে তার সেই অর্জন হাতছাড়া হয়ে যায়। ক্লাবের খেলায় চলতি মৌসুমে তিনি পুরো ম্যাচ খেলার মেন সুযোগ পাননি। তবে স্কোরটাও তার পক্ষে কথা বলছে না। ২৫ ম্যাচে তিনি মাত্র দুটি গোল পেয়েছেন। সতীর্থদের সহায়তা করেছেন তিনটি গোলে।

এএইচএস