দীর্ঘ সাড়ে তিন দশকের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বুয়েন্স আয়ার্সে সোনালী ট্রফি জয়ের উৎসব হয়েছে। বহু আরাধ্য সেই জয়ে লিওনেল মেসিদের সঙ্গে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন পুরো আর্জেন্টিনা। সেই উৎসব এখনও চলছে। সর্বশেষ পানামাকে হারানোর রাতেও বারবার তারা যেন সেই বিশ্বজয়ের মুহূর্ত ফিরেয়ে এনেছেন। তবে আরেকটি বিশ্বকাপ জিততে এমন দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হবে না বলে মনে করেন দেশটির মহাতারকা মেসি।

কাতারের লুসাইলে ফ্রান্সকে হারিয়ে তৃতীয় শিরোপা ঘরে তোলে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। এরপর তিনটি তারকাখচিত জার্সি গায়ে আজই (২৪ মার্চ) তারা প্রথম মাঠে নামে। বুয়েনস আয়ার্সের এল মনুমেন্তালে এদিন ম্যাচটি ছিল আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। ম্যাচের ফলের চেয়ে তাদের কাছে পরম আরাধ্য হয়ে উঠেছিল মেসিদের কাছে পাওয়া।

মেসির ফ্রি-কিকে পাওয়া শেষ মুহূর্তের গোলের পর ২-০ ব্যবধানে মাঠ ছাড়েন। তবে এটি অন্য আর ৮-১০টা ম্যাচের মতোই মাঠ ছাড়া নয়। পানামার খেলোয়াড়রাও এদিন মেসির সঙ্গে লাইন বেধে ছবি তুলেছেন। গায়ের জার্সিতেই নিয়েছেন অটোগ্রাফ। ম্যাচ শেষে দর্শকদের অভিবাদন জানান মেসি।

ওই সময় আবেগাপ্লুত হয়ে মেসি বলেন, ‘যে ভালোবাসা আপনারা দিয়েছেন, তার জন্য ধন্যবাদ জানাই। শুধু বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবেই নয়, কোপা আমেরিকার জন্যও। বলেছিলাম সম্ভব সবকিছুই আমরা বিলিয়ে দেব। ব্যক্তিগতভাবে এই মুহূর্তটার স্বপ্ন আমি সব সময় দেখে এসেছি। আর্জেন্টিনায় ফিরে এসে দর্শকদের সঙ্গে উদ্‌যাপন করা, কোপা আমেরিকা, ফিনিলিসিমা আর সবচেয়ে বড় অর্জন - এই বিশ্বকাপটা সবার সামনে তুলে ধরা।’

আর্জেন্টিনা দ্রুতই পরের বিশ্বকাপ জয় করবে বলে বিশ্বাস মেসির, ‘এই ট্রফিটা জিততে অনেক দীর্ঘ সময় লেগেছে। আমরা জানি না পরেরটা কবে জিতব। আশা করি অনেক বছর লাগবে না। এটা বোঝা গেছে যে, বিশ্বকাপ জেতাটা খুবই কঠিন। অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। শুধু একটি ভালো দল থাকলেই হয় না, আরও অনেক কিছু পক্ষে থাকতে হয়। এখন সময় তিন তারকা উপভোগের।’

কাতার মঞ্চে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে মেসি মোট পাঁচটি বিশ্বকাপে খেলেছেন। এর মধ্যে ২০১৪ আসরে ফাইনালে উঠলেও হেরে যান জার্মানির কাছে। তবে ৩৫ বছর বয়সী মেসির বিশ্বকাপের দীর্ঘ অপেক্ষা ঘুচে কাতারে। পরবর্তী বিশ্বকাপে তিনি খেলবেন কিনা সেটি এখনও নিশ্চিত নন তিনি। তবে তিনি জাতীয় দলের অধ্যায় আরও কিছুটা দীর্ঘ করারই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। সতীর্থ ও কোচও চান আরও একটি আসরে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিক ক্ষুদে জাদুকর।

এএইচএস