ইউরো বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে ইতালিকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। যা ছিল ইতালির মাটিতে ইংলিশদের দীর্ঘ ৬ দশকের জয়খরা কাটানোর ম্যাচ। সেই ম্যাচে গোল করা হ্যারি কেইন তার স্কোরিং অব্যাহত রেখেছেন। তার সঙ্গে বুকায়ো সাকার দ্বৈত নৈপুণ্যে দ্বিতীয় ম্যাচে ইউক্রেনকে সহজেই হারিয়েছে ইংলিশরা।

রোববার (২৬ মার্চ) লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে পুরো ম্যাচে আধিপত্য বজায় রাখে স্বাগতিকরা। সেই চাপ সামলে উঠতে পারেনি যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন। ফলে ইংল্যান্ডের কাছে তারা ২-০ গোলে হেরে গেছে।

ঘটনাবহুল দিনটিতে ম্যাচের প্রথম থেকেই ইউক্রেনের উপর চড়াও হয় ইংলিশরা। ম্যাচের ২৪ মিনিটেই স্বাগতিকরা এগিয়ে জেতে পারতো। তবে, জর্ডান হেন্ডারসন ঠিকভাবে শট নিতে পারেননি। পরবর্তীতে ৩৭ মিনিটে বুকায়ো সাকার ক্রস থেকে প্রথম ডেডলক ভাঙেন কেইন। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ম্যাচে তার গোলসংখ্যা দাঁড়ায় ৫৫-তে। এর আগে ইতালিকে হারানোর ম্যাচে ইংল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে (৫৪) ওয়েইন রুনিকে (৫৩) ছাপিয়ে যান কেইন। এই ম্যাচে তার স্বীকৃতি হিসেবে কেইনকে একটি স্মারক প্রদান করে ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)।

ম্যাচের ৪০ মিনিটে গোল ব্যবধান দ্বিগুণ করে ইংল্যান্ড। প্রথম গোলে সহায়তা করা সাকা গোল করেন এবার। হেন্ডারসনের পাস থেকে পাওয়া বল জোরালো শটে সাকা লক্ষ্যভেদ করেন। প্রথমার্ধের স্কোরলাইনই ম্যাচ শেষেও বজায় থাকে। দ্বিতীয়ার্ধে ইউক্রেনকে আরও চেপে ধরলেও গোল পায়নি স্বাগতিকরা। অন্যদিকে পুরো ম্যাচে লড়াই দেখাতে না পারা ইউক্রেন তিনটি শট নিতে পারে। যার মধ্যে একটিও তারা অন-টার্গেটে রাখতে ব্যর্থ হন।

এই ম্যাচেও আলোচনার কেন্দ্রে ছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ। ইউক্রেন যুদ্ধের পর শরণার্থী হিসেবে ইংল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়া ইউক্রেনের অধিবাসীদের জন্য এ ম্যাচ দেখার টিকিট দিয়েছিল এফএ। তাদের মধ্য থেকে সাড়ে চার হাজার ইউক্রেনীয় নাগরিক গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন।

এএইচএস