আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফিফা) গত ১৪ এপ্রিল বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে। ফিফার নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ২১ দিনের মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে আবেদন করতে হয়। শেষ হয়েছে সেই সময়সীমা। তবে সোহাগ আপিল করেছেন কিনা এ নিয়ে ধূম্রজালের মধ্যে রয়েছেন দেশের ফুটবল সংশ্লিষ্টরা। 

ফিফা থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার পরদিন আইনজীবী আজমামুল স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি ক্রীড়াঙ্গনের একটি গ্রুপে দেন সোহাগ। এরপর থেকে তিনি মিডিয়ার কারও সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি। ফোন কল কিংবা মেসেজেরও কোনো রিপ্লাই দেননি সাবেক বাফুফে সম্পাদক। এমনকি তার আইনজীবী আজমামুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন >> সোহাগ-বাফুফে: পরম বন্ধু, চরম শত্রু!

বাফুফের স্টাফ ও কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা ঘনিষ্ঠ তাদের কেউই সোহাগের আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। কেউ বলছেন, আবেদন করার কথা- হয়তো করেছেন; ইতিবাচক ফল আসলে জানাতে পারবেন। আবার কেউ বলছেন, বাফুফে আজীবন নিষিদ্ধ করায় হয়তো নাও করতে পারেন, কারণ ফুটবলে আর ফেরার সম্ভবানা নেই তার। 

ইতোমধ্যে সোহাগ ফুটবলে নিষিদ্ধ হওয়ার তিন সপ্তাহ পেরিয়েছে। আবেদনের বিষয়টি না জানলেও তার দৈনন্দিন জীবনযাপন সম্পর্কে অবগত অনেকেই। ঈদে তিনি নিজ জেলা মাদারীপুর গিয়েছিলেন। রাজধানীতে পরিবার নিয়ে সামাজিক কর্মকাণ্ডেও অংশগ্রহণ করছেন স্বাভাবিকভাবেই।

আরও পড়ুন >> সালাউদ্দিন পাবেন ৩৫ হাজার, সোহাগ ৫ লাখ!

এদিকে, বাফুফেতে থাকা তার জিনিসপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার তার কাছে থাকা বাফুফের জিনিসপত্রও বুঝে নিয়েছে সংস্থাটি। বাফুফেতে দীর্ঘদিন চাকরি করা সোহাগের দেনা-পাওনার যদিও এখনও দফারফা হয়নি। 

ফিফা থেকে ২ বছরের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ১০ লাখ টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে সোহাগকে। সেই জরিমানা এক মাসের মধ্যে পরিশোধের সময়সীমা বেধে দেয় ফিফা। তিনি সেই অর্থ পরিশোধ করেছেন কিনা সেটাও জানা যায়নি। 

এজেড/এএইচএস