সাইফের পেশাদারিত্বের আরেক উদাহরণ
জাফর ইকবালের পর আরেকটি ট্রান্সফার ফি’র উদাহরণ দেখাল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। মধ্যবর্তী দলবদলে তারা ডিফেন্ডার আরিফুল ইসলামকে শেখ জামাল ধানমন্ডির কাছে ছেড়ে দিয়েছে। শেখ জামালকে খেলোয়াড় দেয়ার জন্য পাঁচ লাখ টাকা ফি পেয়েছে সাইফ স্পোর্টিং। টাকার অঙ্ককে নিছক সংখ্যা হিসেবেই দেখছেন সাইফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিরউদ্দিন চৌধুরী।
নাসিরউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ট্রান্সফার ফি’টা শুধু নিয়েছি আন্তর্জাতিক ফুটবলের একটি ধারা তৈরি করতে। টাকার অঙ্কটা মূখ্য নয়। আরিফকে আমরা বেশ ভালো পারিশ্রমিকে নিয়েছিলাম। ট্রান্সফার ফি সেই তুলনায় খুবই অল্প।’
সাইফ স্পোর্টিং লিগে এখন চতুর্থ স্থানে রয়েছে। তাদের লক্ষ্য দুইয়ে থাকা। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব এখন দুই নম্বরে রয়েছে। দুই নম্বরে থাকা ক্লাবকে নিজেদের ফুটবলার দিয়ে দেয়ার প্রসঙ্গে নাসিরউদ্দিন বলেন, ‘আমার ক্লাবে সে ২০ জনের মধ্যে আসতে পারছে না। তাকে বসিয়ে রেখে ক্যারিয়ার শেষ করার কোনো মানে নেই। শেখ জামালে খেলার সুযোগ পায় সেটা ওর জন্য ভালো হবে।’ জামালে বিদেশি ডিফেন্ডার না থাকায় আরিফুলের খেলার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মৌসুমের শুরুতে বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের প্রথম ট্রান্সফার ফি’র রেকর্ড গড়ে সাইফ স্পোর্টিং। দেড় লাখ টাকা ট্রান্সফার ফি’র বিনিময়ে জাফর ইকবাল সাইফ থেকে মোহামেডানে নাম লেখান। জাফরের চেয়ে এবার বেশি ট্রান্সফার ফি’তে আরিফকে জামালের কাছে ছাড়ল সাইফ স্পোর্টিং।
পেশাদার লিগের এক যুগ পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশের ক্লাবগুলো পেশাদার নয়। সাইফ স্পোর্টিংয়ের এই ট্রান্সফার ফি’র ধারাবাহিকতা খানিকটা পেশাদারিত্বের পরশ পড়ল। যেটা অন্য ক্লাবগুলোর জন্যও অনুকরণীয়।
বিজ্ঞাপন
এজেড/এটি/টিআইএস