ম্যাচ হেরে অভিজ্ঞ কোচ জোসে মরিনিওর মেজাজ হারানোর ঘটনা বেশ পুরনো। এরকম আচরণের দায়ে এর আগে তিনি শাস্তিও পেয়েছিলেন। আরও একবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করলেন এই রোমা কোচ। ঘটনাটা সর্বশেষ ইউরোপা লিগ ফাইনালের, ম্যাচ শেষে তার বিরুদ্ধে রেফারির উদ্দেশ্যে অপমানজনক ও অশালীন ভাষা ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। এছাড়া ম্যাচেও তাদের সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করায় হলুদ কার্ড দেখতে হয় তাকে। সেই ঘটনায় কড়া শাস্তি পেতে পারেন এই স্পেশাল ওয়ান।

গত ৩১ মে ইউরোপা লিগের ফাইনালে সেভিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে যায় রোমা। ম্যাচটিতে টুর্নামেন্টের রেকর্ড সংখ্যক হলুদ কার্ড দেখানো হয়। যেখানে ৪০টি ফাউলের বিপরীতে ১৩ বার হলুদ কার্ড দিয়েছেন রেফারি অ্যান্থনি টেইলর। এর মধ্যে ৭টি হলুদ কার্ড পেয়েছেন রোমার খেলোয়াড়েরা।

একদিকে হার, অন্যদিকে কার্ডের সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই বেশ রগচটে ছিলেন মরিনিও। তাই তো ম্যাচ শেষে তিনি পুসকাস অ্যারেনার বাইরে ম্যাচ অফিসিয়ালদের লক্ষ্য করে চিৎকার করেন। তাদের কথার জবাব দিতে অনেক্ষণ গাড়ি পার্কিংয়েও তাকে এক ভিডিওতে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনেও রেফারি টেইলরের কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন তিনি।

আরও পড়ুন >> ‘আমি হারের পদক রাখি না’, শিরোপা খুইয়ে মরিনিও

এরপর শুক্রবার (২ জুন) ৬০ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ কোচের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার কথা জানিয়েছে উয়েফা। সমর্থকদের আচরণের জন্য উভয় ক্লাবের বিরুদ্ধেও বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে। জানা গেছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন মরিনিও।

ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে গত বুধবার বুদাপেস্টে সেভিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরে যায় রোমা। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ১-১ ড্র ছিল। ট্রাইবেকে রোমা একাধিক শ্যুট আউট মিস করলে সেভিয়ার রেকর্ড সপ্তমবারের ইউরোপা লিগ শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায়।

যার রেশ ম্যাচের পরদিনও রেখে দেন রোমা সমর্থকরা। এদিন বুদাপেস্ট বিমানবন্দরে তাদের হয়রানির শিকার হন রেফারি টেইলর ও তার পরিবার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, টেইলর ও পরিবারকে গালিগালাজ করছেন ইতালিয়ান ক্লাবটির সমর্থকরা। টেইলরকে লক্ষ্য করে চেয়ারও ছুড়ে মারেন একজন, অল্পের জন্য রক্ষা পান ইংলিশ রেফারি। 

এএইচএস