গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পুরোনো ক্লাব বার্সেলোনায় ফেরার জোর গুঞ্জন ছিল। এমনকি মোটা অঙ্কের প্রস্তাব দেওয়া সৌদি আরবের প্রো লিগের ক্লাব আল হিলালেও দেখছিলেন অনেকে। তবে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আমেরিকার ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতেই যাচ্ছেন লিওনেল মেসি। গতকাল (বুধবার) এক সাক্ষাৎকারে নতুন ক্লাবের তথ্য নিজেই নিশ্চিত করেছেন আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী।

যুক্তরাষ্ট্রের লিগে মেসিই ফুটবলের প্রথম বড় নাম নয়। ফুটবলের অনেক রথি-মহারথীর পায়ের ছাপ পড়েছে আমেরিকার ক্লাব অঙ্গনে। তাদের মধ্যে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বড় নাম ব্রাজিলের কিংবদন্তি পেলে। কখনো ইউরোপীয়ান ক্লাবে না খেলা পেলে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব স্যান্তোস ছেড়ে পাড়ি জমান আমেরিকান মুল্লুকে। খেলেছেন নিউইয়র্কের ক্লাব কসমসের হয়ে। পেলে ও মেসির মধ্যে একদিক থেকে অদ্ভুত মিল রয়েছে। দুজনেই ৩৫ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের লিগে পাড়ি জমিয়েছেন।

শুধু পেলেই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের লিগে খেলেছেন ডাচ কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফ, জার্মানির ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, জার্ড মুলার, ব্রিটিশ তারকা ববি মুর ও জর্জ বেস্টও। সাম্প্রতিক অতীতে ডেভিড বেকহাম, থিয়েরি অঁরি, গ্যারেথ বেল, ডেভিড ভিয়া, দিদিয়ের দ্রগবা, ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড, বাস্তিয়ান শোয়েনস্টাইগার, জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ, ওয়েইন রুনি, কাকারা খেলেছেন।

যদিও ব্রাজিলের অন্যান্য অখ্যাত ও বিখ্যাত ফুটবলাররা বিদেশি ক্লাবে খেললেও পেলের ক্যারিয়ারের সোনালি সময়ে তাকে বাইরে খেলতে যেতে বাধা দেওয়া হয়। পেলেকে নেওয়ার জন্য সান্তোস এফসিকে প্রস্তাব দিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ থেকে শুরু করে এসি মিলানের মতো ক্লাবও। সেসময় ফুটবলাররা কোন ক্লাবে খেলবেন সেই বিষয়ে তাদের কথা বলার সুযোগ ছিল খুব কম।

পেলেকে ব্রাজিলে রেখে দেওয়ার জন্য চাপ ছিল সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকেও। ১৯৬১ সালে ব্রাজিলের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জানিও কোয়াদ্রস পেলেকে ‘জাতীয় সম্পদ’ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে তাকে ‘রফতানি করা যাবে না’ বলে একটি ডিক্রি জারি করেছিলেন। পরে ১৯৭৫ সালে তিনি যোগ দিয়েছিলেন নিউইয়র্ক কসমসে। পেলের আগমনের পর যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলের চেহারাই পাল্টে যায়। পেলে যাওয়ার আগে দেশটিতে ফুটবল তেমন জনপ্রিয় স্পোর্টস ছিল না। পেলে সেখানে যাওয়ার পর ফুটবলে আগ্রহী হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ। 

শুধু পেলেই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলের ইতিহাসের পাতায় নাম রয়েছে আরও অনেক বিখ্যাত ফুটবলারের। সেখানে খেলতে গেছেন ডাচ কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফ, জার্মানির ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, জার্ড মুলার, ব্রিটিশ তারকা ববি মুর ও জর্জ বেস্ট। সাম্প্রতিক অতীতের দিকে তাকালেই অনেক বড় বড় নাম রয়েছে। যারা যুক্তরাষ্ট্রে খেলেছেন। এদের মধ্যে আছেন ডেভিড বেকহাম, থিয়েরি অঁরি, গ্যারেথ বেল, ডেভিড ভিয়া, দিদিয়ের দ্রগবা, ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড, বাস্তিয়ান শোয়েনস্টাইগার, জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ, ওয়েইন রুনি, কাকা প্রমুখ।

এফআই