ছবি: সংগৃহীত

সাত ম্যাচ পর লন্ডন ডার্বিতে আর্সেনালের জয়। তাও সেটা এসেছে এমন এক সময়ে যখন দল রীতিমতো অবনমন অঞ্চলে লড়ছে! এই সময়ে চেলসির বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয়ের উচ্ছ্বাসটা বাঁধনহারাই হওয়ার কথা। উচ্ছ্বসিত আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা জানালেন দলের মানসিকতাকে বদলে যেতে সাহায্য করবে এই জয়। এদিকে নিউক্যাসলকে ২-০ গোলে হারিয়ে মৌসুমে প্রথম বারের মতো প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ পাঁচে উঠে এসেছে ম্যানসিটি।

শনিবার রাতে গানাররা নিজেদের মাঠে অ্যালেক্সান্দার লাকাজেত, গ্রানিত শাকা ও বুকায়ো সাকার গোলে এগিয়ে যায়। শেষ মুহূর্তে চেলসি ট্যামি অ্যাব্রাহামের গোলে ব্যবধান কমালেও হার এড়ানোর জন্যে সেটা যথেষ্ট ছিল না মোটেও। ফলে সাত ম্যাচে পাঁচ হারের পর অবশেষে জয়ে ফেরে আর্সেনাল।

আর্তেতা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জানালেন, ‘ফলাফলটা আজকের মূল লক্ষ্য ছিল। আমাদের জয়টা প্রয়োজন ছিল। কিছুটা দুর্ভাগা ছিলাম আর শেষ আট সপ্তাহ ধরে ফলাফল নিয়ে কেবল হতাশই হয়েছে আমরা। এ কারণে এটা আমাদের জন্যে অনেক বড় এক দিন! প্রথম বাঁশির পর থেকেই আপনি দেখে থাকবেন জয়ের জন্যে দলের উদ্দীপনা ও ইচ্ছাশক্তি কোন পর্যায়ে ছিলো।’

‘খেলার আগ থেকেই উদ্দীপনাটা বেশ ইতিবাচক ছিল, ছেলেরা এটা জিততে চেয়েছিল। খেলোয়াড় ও সমর্থকদের জন্যে আমি বেশ আনন্দিত। সমর্থকদেরকে অনেক দিন ধরেই আমরা কেবল হতাশই করে আসছিলাম, আজ এমন এক দিন ছিলো যেদিন অন্তত তারা আনন্দিত হতে পারবেন।’

টানা সাত সপ্তাহের জয়হীনতা কাটানোর পর আর্তেতার বিশ্বাস, আর্সেনালের ভাগ্যের চাকাও ঘুরবে এরপর। বললেন, ‘চেলসির বিপক্ষে লন্ডন ডার্বি জেতা, তাও বক্সিং ডেতে! আশা করছি এখান থেকেই বদলে যাওয়ার শুরু হবে। আমি জানি এ পর্যায়ে খেলতে পারে ছেলেরা। আমরা এটাও জানি, চেলসি কত ভালো দল! কিন্তু বড় মূহুর্তে আমরাই শ্রেয়তর দল ছিলাম। চোট, কোভিড, দশ জন নিয়ে খেলা এমন সব মুহূর্তে আপনি কেবল একটা জয়ের কথাই ভাবতে থাকেন, আমার বিশ্বাস সেটা আমরা পেয়ে গেছি।’

দিনের অন্য ম্যাচে ইলকায় গুন্দোয়ান ও ফেরান তরেসের গোলে নিউক্যাসলকে ২-০ গোলে হারিয়েছে পেপ গার্দিওলার সিটি। তার পথ ধরে চেলসিকে টপকে মৌসুমে প্রথমবারের মতো লিগ টেবিলের শীর্ষ পাঁচে উঠে এসেছে দলটি। 

এনইউ