একের পর এক তারকা ফুটবলারদের দিয়ে দল ভারী করছে সৌদি আরবের ক্লাবগুলো। এক সময় যে লিগের খোঁজ রাখত না কেউ, এখন তারাই প্রতিনিয়ত খবরের শিরোনাম হচ্ছে। প্রথমে সেই উত্তাপ ছড়িয়ে গত জানুয়ারিতে আল-নাসরে যোগ দেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এরপর লিওনেল মেসি, নেইমার জুনিয়র ও কিলিয়ান এমবাপের দিকেও তারা হাত বাড়িয়েছিল। তবে তারা সাড়া না দিলেও করিম বেনজেমা, সাদিও মানে ও এনগালো কান্তেরা ঠিকই যুক্ত হয়েছেন সৌদি ক্লাবে। তারই ধারবাহিকতায় একটি ক্লাব খরচের দিক থেকে রিয়াল মাদ্রিদ ও পিএসজিকেও পেছনে ফেলেছে।

দলবদলের খরচে তালিকার দুই নম্বরে উঠে এসেছে আল-হিলাল। পিএসজি ও রিয়ালের মতো জায়ান্ট ক্লাবগুলো আছে তাদের পরের অবস্থানে। এবারের দলবদলে ১১ জন খেলোয়াড়কে দলে ভিড়িয়েছে সৌদি ক্লাবটি। যেখানে রুবেন নেভেস, কালিদু কোলিবালি এবং ম্যালকমের মতো তারকারা আছেন। তাদের পেছনে আল-হিলালের খরচ হয়েছে ১৭ কোটি ৮০ লাখ ইউরো। বিপরীতে ক্লাবটি ৭ খেলোয়াড়কে বিক্রি করে তারা পেয়েছে ১৩ লাখ ৮০ হাজার ইউরো।

নতুন করে ক্লাবটি পিএসজি ফরোয়ার্ড এমবাপের জন্য ৩০ কোটি ইউরোর প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়েছে। পিএসজিও আল হিলালের এই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে। তবে এমবাপে নাকি ওই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। তার এখন একটাই লক্ষ্য- সেটি হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদে নাম লেখানো। তবে দাম কমার অপেক্ষায় আপাতত নীরবতা পালন করছে স্প্যানিশ ক্লাবটি। অন্যদিকে, এমবাপেকে রাজি করাতে পারলে এ মৌসুমে দলবদলের রাজত্ব পুরোপুরি আল-হিলালের দখলে চলে যাবে। 

আরও পড়ুন >> আল হিলাল কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখাই করলেন না এমবাপে

খেলোয়াড় বেচাকেনায় নেট খরচের হিসাবে এখন পর্যন্ত সবার ওপরে রয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব আর্সেনাল। এরই মধ্যে ৯ খেলোয়াড়কে কিনতে তারা খরচ করেছে ২৩ কোটি ১৬ লাখ ইউরো। যে তালিকায় আছেন ডেকলান রাইস, কাই হাভার্টজ, জুলিয়ান টিম্বারের মতো তারকারা। অন্যদিকে তারা ৩ খেলোয়াড়কে বিক্রি করে ১ কোটি ৯৯ লাখ ইউরো পেয়েছে। শীর্ষে থাকা আর্সেনালের নেট খরচ এখন পর্যন্ত ২১ কোটি ১৭ লাখ ইউরো।

জার্সি প্রদর্শনীতে পিএসজির খেলোয়াড়রা

তালিকায় তৃতীয় অবস্থান পিএসজির। মেসিকে ফ্রি ট্রান্সফারে ছাড়লেও খেলোয়াড় বিক্রি করে তাদের আয় ২ কোটি ১৫ লাখ ইউরো। দলবদলের এবারের বাজার বন্ধ হওয়ার শেষদিকে দল ছাড়তে পারেন এমবাপেও। বিপরীতে মার্কো অ্যাসেনসিও, লুকাস হার্নান্দেজসহ ৬-৭ খেলোয়াড় কিনে ফরাসিরা ১৫ কোটি ৯৬ লাখ ইউরো খরচ করেছে। এছাড়া হ্যারি কেইনসহ আরও কয়েকজন খেলোয়াড পিএসজির রাডারে রয়েছেন।

আরও পড়ুন >> রোনালদোর আল-নাসরকেই বেছে নিলেন মানে

রিয়াল মাদ্রিদের অনুশীলন

এখন পর্যন্ত দলবদলে খেলোয়াড় বিক্রি না করা রিয়াল খরচের দিক থেকে রয়েছে চতুর্থ অবস্থানে। বেনজেমাসহ ৬ খেলোয়াড়কে তারা ফ্রি ট্রান্সফারে ক্লাব ছেড়েছে। বিপরীতে জুড বেলিংহাম, আর্দা গুলের এবং হোসেলুর মতো তারকাকে দলে ভিড়িয়েছে রিয়াল। এতে ক্লাবটির খরচ হয়েছে ১২ কোটি ৮৫ লাখ ইউরো। এছাড়া জেমস ম্যাডিসন, পেদ্রো পোরোর মতো খেলোয়াড়দের কিনে ১৩ কোটি ৬৩ লাখ ইউরো ব্যয় হয়েছে টটেনহামের। ৬ খেলোয়াড়কে ছেড়ে তারা পেয়েছে ১ কোটি ১৬ লাখ ইউরো। এই তালিকায় পরবর্তী অবস্থানে নাম রয়েছে আরবি লাইপজিগ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, নিউক্যাসল ইউনাইটেড, লিভারপুল ও চেলসির।

এএইচএস