মাত্র ১৭ বছর বয়সেই সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে ইংল্যান্ড জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল থিও ওয়ালকটের। ইংলিশদের হয়ে ২০০৬ সালে হাঙ্গেরির বিপক্ষে গড়া তার সেই রেকর্ড এখনও অক্ষুণ্ন আছে। ঠিক ১৭ বছর পর (৩৪ বছর বয়স) ফুটবলকে বিদায় বলে দিয়েছেন ইংলিশ ক্লাব আর্সেনালের সাবেক এই উইঙ্গার। সাউদাম্পটনের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হতেই তিনি অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন।

ক্লাব পর্যায়ে ৫৬৩টি ম্যাচে ১২৯ গোল করেন ওয়ালকট। ওই সময়ের ভেতর আর্সেনালের হয়ে দুবার এফএ কাপ জিতেছেন। এছাড়া ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে ৪৭ ম্যাচে তিনি ৮টি গোল করেন। তবে সবুজ ঘাসে দুর্দান্ত গতির জন্য বেশ খ্যাতি ছিল ওয়ালকটের। যা নিয়ে বর্তমান ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলার মন্তব্য ছিল এমন—তাকে থামাতে পিস্তলের প্রয়োজন রয়েছে।

ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা দিয়ে ওয়ালকট সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘১০ বছর বয়সে যখন প্রথম ফুটবল বুট পায়ে দিই, সেই দিনটি ছিল আমার জন্য বিশেষ এক যাত্রার সূচনা। পার্কে শুরু হওয়া বন্ধুদের সঙ্গে সেই যাত্রা থেকে পরবর্তীতে বড় স্টেডিয়ামে খেলেছি। যেখানে উপস্থিত ছিল সারা বিশ্বের বিশাল জনতা। এতদিন ধরে আমার প্রতি দেখানো সমর্থন ছিল কল্পনাতীত। আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। অনেক দুর্দান্ত খেলোয়াড়ের সঙ্গে মাঠ শেয়ার করেছি এবং অনেক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত তৈরি করেছি।’

আরও পড়ুন >> সবচেয়ে দ্রুতগতির পেনাল্টির রেকর্ড কেলির

এরপরই আর্সেনালের সাবেক কিংবদন্তী কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার ও সতীর্থদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান সাবেক ইংল্যান্ড ফরোয়ার্ড, ‘অশেষ ধন্যবাদ জানাতে চাই যেসব ম্যানেজার ও কোচের সঙ্গে কাজ করেছি। বিশেষ করে শুরুর দিকে হ্যারি রেডকন্যাপ আমাকে সময় দেওয়ার জন্য। ১৬ বছর বয়সে যখন আর্সেনালে যোগ দিই, তখন আমার ওপর বিশ্বাস রাখা এবং সমর্থনের জন্য আর্সেন ওয়েঙ্গারকেও কৃতজ্ঞতা।’

১২ বছর আর্সেনালে খেললেও, এভারটনের গডিসন পার্কে কাটানো মুহূর্ত ওয়ালকটের চোখে স্পেশাল। সেখানকার দর্শকদের ভালোবাসার কথাও তিনি স্মরণে রাখার কথা জানিয়েছেন। এরপর সাউদাম্পটনে গিয়ে তরুণ একটি দলের সঙ্গে কাটিয়েছেন সুন্দর সময়। ক্লাবটির সঙ্গে গত মৌসুমে তার চুক্তির মেয়াদ ফুরোলেও তাকে থেকে যেতে বলেছিল সাউদাম্পটন। তবে এখনই বুটজোড়া তুলে রাখাই শ্রেয় মনে করছেন ওয়ালকট।

এএইচএস