স্বাভাবিক অবস্থায় যেখানে অক্সিজেন সংকট দেখা দেয়, বলিভিয়ার সেই লাপাজ স্টেডিয়ামে খেলতে নামছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। শ্বাস নিতে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সে কারণে আলবিসেলেস্তে ফুটবলারদের হাতে অক্সিজেনের ছোট বোতল দেখা গেছে। তবে অনুশীলনের সময় বেশ ঘাম ঝরাতে হচ্ছে বিধায় তখন অক্সিজেনের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠছেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজরা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩ হাজার ৬৫০ মিটার উঁচুতে সেই অনুশীলন অভিজ্ঞতার কথা তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন।

আজ (মঙ্গলবার) রাত ২টায় লাপাজ হার্নান্দো সাইলস স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে স্বাগতিক বলিভিয়ার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। তার আগে ওই ভেন্যুতে অনুশীলন সেরে নিয়েছে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। তবে অনেক উচ্চতায় হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে আর্জেন্টাইনদের।

উঁচু ওই মাঠের অভিজ্ঞতা এক বাক্যে প্রকাশ করেছেন গোলরক্ষক দিবু মার্টিনেজ, ‌‘পুরো ট্রেনিংজুড়ে একটু বাতাস (অক্সিজেন) খুঁজেছি।’

আরও পড়ুন >> লাপাজে আর্জেন্টিনা, মেসিকে নিয়ে শঙ্কা

এর আগে গাড়ি থেকে নামার সময়ই অক্সিজেন টিউব হাতে দেখা যায় সফরকারী ফুটবলারদের। যা নিজের মুখের সামনে ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি পোস্ট করেন লিভারপুল তারকা অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। এছাড়া ডিফেন্ডার ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর হাতেও ওই টিউব দেখা গেছে। রোববার রাতে আলবিসেলেস্তে বাস লাপাজ স্টেডিয়ামে পৌঁছায়।

এছাড়া আর্জেন্টিনা শিবিরে রয়েছে আরেকটি শঙ্কা। বলিভিয়ার বিপক্ষে শুরুর একাদশে মেসিকে পাওয়া নিয়ে সংশয় তো রয়েছে। ফলে স্বাগতিকদের বিপক্ষে বেশ কঠিন পরীক্ষাই দিতে হতে পারে কাতারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের। হার্নান্দো সাইলস স্টেডিয়ামটি সফরকারী প্রতিটি দলের জন্য বদ্ধভূমি হিসেবে কুখ্যাত। পাহাড়সমান উচ্চতায় অবস্থিত এই স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলা দূরের কথা, ঠিকমতো শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়াই কঠিন। মার্টিনেজের মতো বেশিরভাগ আর্জেন্টাইন প্রথমবারের মতো মাঠটিতে খেলতে নামছেন।

কাতার বিশ্বকাপের পর থেকে এখনও জয়রথ ধরে রেখেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলটি। তবে তার বেশিরভাগই প্রীতি ম্যাচ। বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে ইকুয়েডরকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা। যদিও ম্যাচটিতে একমাত্র গোলটি পেতে বেশ বেগ পেতে হয় আকাশী-সাদা জার্সিধারীদের। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে মেসির ফ্রি-কিক থেকেই দারুণ এক গোলে তাদের ডেডলক ভাঙে। এরপর মেসি পরের ম্যাচটিতে খেলবেন কিনা তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।

এএইচএস