আলতাফের পর করোনা দ্বিতীয় ঢেউ প্রাণ নিল রেফারি রফিকের
সাবেক ফিফা রেফারি রফিকুল ইসলাম রফিক (ডান থেকে দ্বিতীয়)/ফাইল ছবি
করোনার প্রথম ধাপে ক্রীড়াঙ্গনে অনেক প্রাণ ঝরেছে। দ্বিতীয় ধাপে ইতোমধ্যে তাণ্ডব শুরু করেছে। গত তিন দিনেই ক্রীড়াঙ্গনে তিন জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনা। শুরুটা আরামবাগের সাবেক কোচ জলিকে দিয়ে। গতকাল বৃহস্পতিবার ফেন্সিং এসোসিয়েশনের নির্বাহী সদস্য প্রকৌশলী আলতাফ হোসেনের পর আজ মারা গেলেন সাবেক ফিফা রেফারি রফিকুল ইসলাম রফিক।
আজ শুক্রবার ভোর সোয়া নয়টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাবেক এই কৃতি রেফারি রফিক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। রফিকের মৃত্যুতে ফুটবলাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। আরেক সাবেক ফিফা রেফারি ইব্রাহিম নেসার রফিক সম্পর্কে বলেন, ‘মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন অসম্ভব ভালো। রেফারি হিসেবেও দারুণ। অনেক ঐতিহাসিক ম্যাচ করেছেন। সাব্বিরের পা ভাঙা ম্যাচের বাশি রফিক ভাই বাজিয়েছিলেন।’
বিজ্ঞাপন
রফিক ফিফা রেফারির পাশাপাশি সহকারি কোচ ছিলেন। ফুটবলের পাশাপাশি কাবাডিতেও আম্পায়ারিং করেছেন রফিক। রফিকের মৃত্যুতে বাফুফে, রেফারিজ এসোসিয়েশন, কাবাডি ফেডারেশন সহ বিভিন্ন সংস্থা শোক জানিয়েছে।
করোনার দ্বিতীয় ধাপে এখন পর্যন্ত ক্রীড়াঙ্গনে প্রাণ হারানোর সংবাদ তিনটিই পাওয়া গেছে। পজিটিভের সংখ্যা এখনো সেভাবে জানা যাচ্ছে না। শুটিং ফেডারেশনের মহাসচিব, সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সাবেক সাতারু লায়লা বেগম সহ অল্প কয়েকজনের করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তারা বাসাতেই আইসোলেশনে রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
করোনার প্রথম ধাপের সময় কয়েক মাস ক্রীড়াঙ্গন একেবারে স্থবির ছিল। মাঠে মাস পাঁচেক এর মতো সময় কোনো খেলা গড়ায়নি। ফেডারেশনগুলোর অফিসও বন্ধ ছিল অনেক দিন। এবার দ্বিতীয় ধাপে সকল ফেডারেশন এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডই চালাচ্ছে। বাংলাদেশ গেমস চলমান থাকায় অবশ্য ফেডারেশনগুলোর অফিস করতেই হচ্ছে। ফুটবল ফেডারেশন খুব প্রয়োজনীয় কাজ না থাকলে তাদের বেতনভুক্ত কর্মকর্তাদের ভবনে আসতে নিরুৎসাহিত করেছে।
করোনার প্রথম ধাপে সাবেক জাতীয় ফুটবলার নুরুল হক মানিক, সালাহউদ্দিন সহ বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের অনেকে প্রাণ হারিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগেই ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট অনেকেই টিকা নিয়েছেন।
এজেড/এনইউ