ম্যাচ পরিচালনা শুরুর আগে জয়া চাকমা (বল হাতে)

নারী লিগে ম্যাচ পরিচালনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটি নিয়ে ভারত থেকে দেশে ফিরেছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী ফিফা রেফারি জয়া চাকমা। তবে সে উদ্দেশ্য পুরোপুরি পূরণ হলো না তার। করোনার কারণে নারী ফুটবল লিগ স্থগিত হওয়ায় একটি লিগ ম্যাচ ও বাংলাদেশ গেমসের একটি ম্যাচ পরিচালনা করেই ফিরতে হচ্ছে তাকে।

ভারতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করছেন জয়া। নারী ফুটবল লিগে রেফারিংয়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। ২৮ মার্চ ঢাকায় এসে ২৯ মার্চ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসের ম্যাচ পরিচালনা করেন। ৩১ মার্চ নারী ফুটবল লিগের উদ্বোধনী ম্যাচও করেন। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার ৫ এপ্রিল থেকে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেয়। ওই দিন থেকেই নারী ফুটবল লিগ স্থগিত। ফলে দুই ম্যাচের বেশি বাজাতে পারেননি জয়া। আগামীকাল মঙ্গলবার আবার ভারত ফিরে যাচ্ছেন। 

এর আগে করোনা রিপোর্টও পেয়ে গেছেন তিনি। নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পর জয়া বলেন, ‘ এক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি পুরো বদলে গেল। এক মাসের ছুটি নিয়ে এসেছিলাম। কয়েকটি ম্যাচ করলে রেফারিংয়ের অনুশীলন থাকতো। করোনা বাস্তবতায় সেটা হলো না।’ 

নারী ফুটবল লিগ এখন স্থগিত রয়েছে। মে মাসের আগে শুরু হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। লিগ পুনরায় শুরু হলে আসার চেষ্টা করবেন জয়া, ‘আমি আবার আসার চেষ্টা করব। আমাকে অনুশীলনের মধ্যে থাকতে হবে।’

ভারতের বেনারস বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স অব ফিজিক্যাল এডুকেশনে নিচ্ছেন উচ্চতর ডিগ্রি। দু’বছরের মাস্টার্স প্রোগ্রামের মাত্র দ্বিতীয় সেমিস্টার চলছে। সেমিস্টার বিরতিতে ও ছুটি নিয়ে বেনারস থেকে ঢাকায় আসা যাওয়ায় অনেক খরচ। রেফারিং যখন নেশা তখন খরচের দিকে তেমন ভাবেন না এই ফিফা নারী রেফারি, ‘ফিফা রেফারি হতে আমার অনেক খরচ হয়েছে। একটি কানেক্টিভিটি ডিভাইস কিনেছিলাম ৫০০ ডলারের উপরে। ফিফা রেফারি যখন হয়েছি তখন সময় সুযোগ পেলে বাশি বাজাব।’  

ফিফা রেফারি হওয়ায় আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো পরিচালনা করতে পারবেন জয়া। করোনার জন্য এএফসি ও সাফের নারীদের প্রতিযোগিতাও সেভাবে হচ্ছে না। তাই ফিফা রেফারি হওয়ার পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ চালানোর সুযোগ এখনো পাননি তিনি। 

আগামীকাল সকালে ঢাকা থেকে দিল্লিগামী বিমানে উঠবেন। এরপর দিল্লি থেকে ট্রেনে যাবেন বেনারস। ২৮ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল নারী ফুটবল লিগে দুই ম্যাচে রেফারি হিসেবে বাঁশি বাজিয়েছেন। কয়েকটি ম্যাচে চতুর্থ রেফারি ছিলেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসের মহিলা ফুটবলেও কয়েকটি ম্যাচ পরিচালনা করলেও ফাইনাল ম্যাচ করতে পারেননি। 

এজেড/এনইউ/এটি