বর্তমান প্রজন্মের ফুটবলার ও ক্রীড়াপ্রেমীরা জহিরুল হককে সেভাবে চেনেন না। বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে জহির বিশেষ এক নাম। ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডানের চারবারের অধিনায়ক, যিনি নানা বৈষম্যের মধ্যেও খেলেছেন পাকিস্তান দলে। আজ (শনিবার) সকালে কিংবদন্তি এই ফুটবলার মৃত্যুবরণ করেছেন। 

৮৮ বছর বয়সী জহিরুল গত কয়েক বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন। শারিরীক নানা জটিলতা এবং বার্ধক্যজনিত কারণে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আজ। বাদ মাগরিব জহিরের জানাজা ঢাকার ফার্মগেটস্থ খেজুর বাগান মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। তার মৃত্যুতে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব শোক জানিয়েছে এবং তার প্রতি সম্মান জানিয়ে পতাকা অর্ধনমিত রাখবে। 

ক্রীড়াঙ্গনে অবদান রাখার জন্য সর্বোচ্চ স্বীকৃতি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করা হয় ১৯৭৬ সাল থেকে। এই পুরস্কারের আগে বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির পুরস্কারই ছিল ক্রীড়াঙ্গনে প্রথম স্বীকৃতি। ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্রীড়া লেখক সমিতি দুই বছর (৬৪ সালে) পর সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার প্রদান করে। সেই প্রথম প্রথম পুরস্কার পাওয়া ক্রীড়াবিদ জহিরুল হক। ষাটের দশকের এই কিংবদন্তিকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করা হয় ২০০১ সালে।

১৯৭৬ সালে ফুটবল থেকে অবসর নেন জহির। খেলা ছাড়ার পর মোহামেডান ও ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সেভাবে যুক্ত ছিলেন না। পরিবার ও ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকা জহির গত কয়েক বছর বেশ অসুস্থ অবস্থায় কাটিয়েছেন। 

এজেড/এএইচএস