আফ্রিকান কাপ অব নেশন্স শুরুর ঠিক আগে লিভারপুলের জার্মান কোচ ইউর্গেন ক্লপ বলেছিলেন, তিনি চান মিসর খুব দ্রুতই বাদ পড়ুক। তার এমন চাওয়ার পেছনে বড় কারণ ছিল মোহাম্মদ সালাহ। ইংলিশ ক্লাবটির নিউক্লিয়াস বলা চলে সালাহকে। মিসর আফকনে যত বেশিদিন থাকবে, সালাহকে তত বেশি মিস করবে লিভারপুল। সেই ভাবনা থেকেই মূলত এমন মন্তব্য ছিল ক্লপের। 

কিন্তু, সেই বক্তব্য এভাবে ফলে যাবে, কে ভেবেছিল! আফকনে টানা দুই ড্র করে মিসর যখন ধুঁকছে, তখনই সালাহ চলে এলেন লিভারপুলে। তবে সেটা আনফিট হয়ে। ইনজুরি আক্রান্ত সালাহ নিজের সেরে ওঠার জন্য দ্বারস্থ হলেন তার ক্লাবের। ক্লাবও তাকে ফিরিয়ে দেয়নি। এমনকি এও জানিয়েছে, প্রয়োজনে তাকে আবার মিসরের কাছে ফেরত পাঠানো হবে। 

ইজিপ্ট ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ইএফএ) জানিয়েছে, মাংসপেশির ইনজুরির জন্য আইভরিকোস্ট ছেড়ে ইংল্যান্ডে চলে যাচ্ছেন সালাহ। শুরুতে তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, গ্রুপপর্বে কেপ ভার্দের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ এবং রাউন্ড অব সিক্সটিনে (যদি মিসর যেতে পারে) ম্যাচ মিস করবেন সালাহ। 

কিন্তু পরীক্ষা শেষে জানা যায়, মিসরের কোয়ালিফাই করা সাপেক্ষে সেমিফাইনাল পর্যন্ত পাওয়া যাবে না সালাহকে। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, দ্রুত পুনর্বাসনের জন্য লিভারপুলের কাছেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে এই উইঙ্গারকে। সেখানে সুস্থ হলে মিসরের দরকারে আবার ফিরবেন তিনি। 

তবে সালাহর এমন প্রস্থান মিসরকে মানসিকভাবে কিছুটা হলেও ধাক্কা দেবে। এরইমাঝে গ্রুপের দুই ম্যাচেই ড্র করে বিপদে আছে তারা। মোজাম্বিকের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্রয়ের পর ঘানার সঙ্গেও এসেছে একই ফলাফল। দুই ম্যাচে দুই পয়েন্ট পাওয়া মিসরের পরের ম্যাচ টানা জয় পাওয়া কেপ ভার্দের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে জয় না পেলে এবং গ্রুপের আরেক ম্যাচে মোজাম্বিক বা ঘানার কেউ জয় পেলেই মিসরের নকআউট পর্বে যাওয়া আটকে থাকবে। 

এদিকে সালাহর ফিরে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লিভারপুল বস ইউর্গেন ক্লপ। জানিয়েছেন চাইলে সালাহ ফিরেও যেতে পারেন দেশের জন্য, ‘মো যদি ফাইনালের আগে সুস্থ হয়ে ওঠে, তাহলে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, সম্ভবত সে ফাইনালের আগে মিসরে ফিরে যাবে।’ 

জেএ