২০২২ বিশ্বকাপে প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে সেমিফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিল আফ্রিকান দেশ মরক্কো। স্পেন এবং পর্তুগালের মত দলকে হারিয়ে বিশ্বকাপের শেষ চারে জায়গা করে নেয় আশরাফ হাকিমি-হাকিম জিয়েখদের দল। এবারের আফ্রিকান কাপ অব নেশন্সে তাদেরকেই রাখা হয়েছিল ফেবারিট হিসেবে। কিন্তু এই দলটিই বাদ পড়েছে শেষ ষোলোতেই। 

অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ২-০ গোলের হারে নিশ্চিত হয়েছে মরক্কোর বিদায়। তবে এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সাম্প্রতিক ইতিহাসও সুখের না মরক্কোর। বিশ্বকাপের পর থেকে মাত্র ২টিতে হেরেছে মরক্কো। দুটি ম্যাচই তারা হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। 

শেষ ষোলোয় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মরক্কোকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন তাদের পরিক্ষীত তারকারাই। বিশ্বকাপে পর্তুগালকে বিদায় করে দেওয়া ইউসুফ আল-নাসেরি মিস করেছেন সহজ সুযোগ। নয়ত ম্যাচের ১০ মিনিটের মধ্যেই লিড পেতে পারতো আফ্রিকান সিংহরা। এরপরও অবশ্য প্রথমার্ধে গোল করেছিল মরক্কো। কিন্তু গোল বাতিল হয়েছে অফসাইডের কারণে। 

প্রথমার্ধে খোলসবন্দী থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয়ার্ধে চড়াও হয় মরক্কোর ওপর। দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম ধাক্কা আসে এভিডেন্স মাকগোপার গোলে। তার আগেও সহজ দুই সুযোগ মিস করে আশরাফ হাকিমিরা। সেই শাস্তি দিতেই যেন ৫৬ মিনিটে দক্ষিণ আফ্রিকার এই গোল। অনেকটা এগিয়ে এসেও বল ঠেকাতে পারেননি মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনোর জন্য।  

মরক্কোর বিদায়ে নিজেকে দোষ দিতেই পারেন দেশটির সবচেয়ে বড় তারকা আশরাফ হাকিমির জন্য। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে বল মেরেছেন বাইরে। গোলটি করতে পারলে তখনই সমতায় ফিরতে পারত মরক্কো। এরপরই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা সোফিয়ান আমারবাতও। সেই ফ্রিকিক থেকেই গোল করেন তেবোহো মোকোয়েনা।

মরক্কোর বিদায়ের মধ্য দিয়ে আফ্রিকান শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে আরও একটি ফেবারিট দলের বিদায় নিশ্চিত হলো। এর আগে গতবারের দুই ফাইনালিস্ট সেনেগাল ও মিসরও বিদায় নিয়েছে। বিদায় নিয়েছে আন্দ্রে ওনানার ক্যামেরুনও। টুর্নামেন্টে বড় দলের মধ্যে বাকি আছে কেবল নাইজেরিয়া এবং আইভরিকোস্ট।