রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন কিংবদন্তি কোচ কার্লো আনচেলত্তি। চলতি মৌসুমে লা লিগার শিরোপার দৌড়ে বেশ এগিয়ে লস ব্লাঙ্কোসরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও আনচেলত্তির শিষ্যদের পারফরম্যান্স বেশ উজ্জ্বল। তবে এরই মাঝে মাঠের বাইরের এক ঘটনায় বড় ধাক্কা খেতে চলেছেন তিনি। মাদ্রিদের প্রাদেশিক প্রসিকিউটর অফিস তার বিরুদ্ধে ট্যাক্স ফাঁকির মামলায় চার বছর নয় মাসের কারাদণ্ডের আবেদন করেছে।

এই তথ্য নিশ্চিত করেছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা। তারা বলছে, রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ২০১৪-১৫ মৌসুমে প্রথমবারের মতো ম্যানেজার হয়ে আসেন এই ইতালিয়ান কোচ। ওই সময়ে তার সম্পদের ১০ লাখ ৬২ হাজার ৭৯ ইউরো কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। একই মামলায় মাদ্রিদের প্রাদেশিক প্রসিকিউটর অফিস চার বছর নয় মাসের কারাদণ্ডের আবেদন করেছে আনচেলত্তির বিরুদ্ধে।

মার্কার দাবি— দুটি অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ। কর প্রদানের ক্ষেত্রে আনচেলত্তি স্পেনের বাসিন্দা হিসেবে নিজের অবস্থানের কথা জানালেও, তিনি থেকেছেন স্পেনের বাইরে মাদ্রিদে। যেখানে তিনি নিজের ব্যক্তিগত ইমেজ স্বত্ব বাদ দিয়ে কেবল রিয়ালের ম্যানেজার হিসেবে আয়ের তথ্য দেখিয়েছেন। বাড়তি আয়ের বিষয়ে মাদ্রিদ বস বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন বলে অভিযোগ প্রসিকিউটর অফিসের।

এর আগে ৬৪ বছর বয়সী এই ইতালিয়ান কোচ প্রথম রিয়ালের ম্যানেজারের ভূমিকায় ছিলেন ২০১৩–১৫ মৌসুমে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফায় বার্নাব্যুর ডাগআউটে যোগ দেন ২০২১ সালে। ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে সেরা কোচদের একজন আনচেলত্তি। তিনিই একমাত্র কোচ যিনি চার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছেন। মাদ্রিদের ক্লাবটির হয়ে দু’বার এবং ইতালিয়ান দল এসি মিলানের হয়ে জিতেছেন দু’বার। একইসঙ্গে একমাত্র কোচ হিসেবে পাঁচটি ভিন্ন লিগের টাইটেল জিতেছেন। শিরোপা ছুঁয়েছেন ইংল্যান্ড, স্পেন, ইতালি, জার্মানি ও ফ্রান্সের লিগে।

তবে কারাদণ্ড এড়ানোর সুযোগ রয়েছে আনচেলত্তির সামনে। এক্ষেত্রে রিয়াল বসকে নিজের অপরাধ স্বীকার করে নিতে হবে। এর আগে মাদ্রিদ কোচ জোসে মরিনিয়ো ২০১৯ সালে কর ফাঁকির দায়ে নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেওয়ায়, এক বছরের বরখাস্ত আদেশ পেয়েছিলেন। একইভাবে স্পেনের ক্লাবে থাকাকালে একই মামলার মুখোমুখি হয়েছিলেন লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরাও।

এএইচএস