আইনজীবি ইনেজ গার্দিওলার সঙ্গে কোর্টে যাওয়ার পথে আলভেজ

এক বছরেরও বেশি সময়জুড়ে ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম আলোচিত ব্যক্তি দানি আলভেজ। ধর্ষণের দায়ে গত ফেব্রুয়ারিতে তাকে সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ড দেন স্পেনের একটি আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আলভেজ এবং প্রসিকিউশন উভয়পক্ষই আপিল করেছে। সেই আপিলের নিষ্পত্তি (২০ মার্চ) হওয়া পর্যন্ত আলভেজের জামিন মঞ্জুর করেছেন বার্সেলোনার আদালত। এরই মাঝে আলভেজ কারামুক্তির পর পার্টিতেও যোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। যেখানে বলা হয়, জামিন পাওয়ার দিন দুয়েক পরই (মঙ্গলবার) রাতে নিজবাসায় পার্টি আয়োজন করেছেন আলভেজ। তবে সেটি ছিল তার বাবা ডমিঙ্গোস আলভেজ দ্য সিলভার জন্মদিন উপলক্ষ্যে।

‘দিজ ইজ লাইফ’ নামে এক অনুষ্ঠানে প্রতিবেদক জানান, রাতে তারা ওই বাসায় সমবেত হয়। সেখানে কোনো সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন না এবং পরে জন্মদিন উদযাপন করা হয় ডমিঙ্গোস আলভেজ দ্য সিলভার। যা বাবার জন্য আয়োজন করেছিলেন আলভেজ। এটি কেবল ছোটখাটো কোনো পার্টি ছিল না। উপস্থিত অতিথিদের মাধ্যমে জানা গেছে, সারারাত চলার পর সেই অনুষ্ঠান হয়েছে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত। যেখানে তাদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও আলভেজের কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব উপস্থিত ছিলেন।

সবমিলিয়ে ১৪ মাস পাঁচদিন কারাগারে থাকার পর জামিনে বের হয়েছেন আলভেজ। যেখানে বার্সেলোনার সাবেক এই ডিফেন্ডারের মুক্তির জন্য মিলিয়ন ইউরোর ফান্ড গঠন করা হয় বলে জানিয়েছেন কাতালুনিয়ার সুপারিওর কোর্ট অব জাস্টিস। সংবাদমাধ্যমের দাবি– সেই অর্থ দিয়েছেন ক্লাবটির আরেক তারকা ফুটবলার মেম্ফিস ডিপেই। ১০ লাখ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ কোটি টাকা) জমা দেওয়ার পর সাময়িক এই মুক্তি মেলে আলভেজের।

জামিন পেলেও দেশত্যাগ করতে পারবেন না এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। তার আইনজীবি ইনেজ গার্দিওলার মাধ্যমে ইতোমধ্যে ব্রাজিল ও স্পেনের দুটি পাসপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। আদালত থেকে তাকে বার্সেলোনা ছেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে এবং ওই সময়ের মধ্যে তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ চলবে তাদের। এছাড়া নতুন করে সিদ্ধান্ত আসার আগপর্যন্ত নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদনও করতে পারবেন না আলভেজ।

উল্লেখ্য, ৪০ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ার ছিল অনেকগুলো ট্রফিতে মোড়ানো, বিশেষ করে ক্লাব ফুটবলে। ক্যারিয়ারের একেবারে শেষদিকে এসে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে স্পেনের এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। যদিও শুরু থেকে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছিলেন আলভেজ। অবশেষে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর গত ২২ ফেব্রুয়ারি তাকে কঠিন শাস্তিই পেতে হলো। নির্দোষ দাবি করে আপিল করেছেন এই ব্রাজিলিয়ান এবং প্রসিকিউশন সাড়ে ৯ বছরের সাজা চেয়ে আপিল করেছে।

এএইচএস